পাকিস্তানের হামলায় ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করলো দেশটির সামরিক বাহিনী। শনিবার ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বীকার করেছেন।

সাংগ্রিলা বৈঠকে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন অনিল চৌহান। শনিবার সেখানেই  একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত এবং ভারতের যুদ্ধবিমান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি উত্তর দেননি অনিল। তবে তিনি যা বলেছেন, তাতে যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে।

ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের কাছে জানতে চাওয়া হয়- “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের বিষয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি। পাকিস্তান কি ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল? 

এর উত্তরে সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলেননি ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক। 

তিনি বলেছেন, “আমাদের কাছে যুদ্ধবিমান ধ্বংসটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেন সেটা ধ্বংস হল, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।”

সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী এরপর আরো জোর দিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন, “তার মানে অন্তত একটি যুদ্ধবিমান পাকিস্তানি হামলায় ধ্বংস হয়েছিল?”

অনিল সংক্ষেপে ‘হ্যাঁ’ উত্তর দিয়েই ভারতীয় সেনার কৌশল ব্যাখ্যায় জোর দেন। 

তিনি বলেন, “যেটা ইতিবাচক দিক, সেটা হল, আমরা আমাদের কৌশলগত ভুলটা তখনই বুঝতে পেরেছি এবং সেটা শুধরে দু’দিন পর আবার সেই কৌশল প্রয়োগ করেছি। সব যুদ্ধবিমান আবার আমরা উড়িয়েছি এবং দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করেছি।”

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। এ ঘটনার ১৫ দিন পরে ৭ মে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। ওই দিনই পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের অন্তত তিনটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। তবে ওই সময় থেকে পাকিস্তানের এ দাবি অস্বীকার করে আসছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ক র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সেই আছিয়ার পরিবারকে গরু ও ঘর দিল জামায়াত

মাগুরায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে দুটি গরু ও একটি গোয়ালঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার হস্তান্তর করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।

এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় এবং জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

গত ১৫ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আছিয়ার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত বিচার চান। সে সময় আছিয়ার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জামায়াতের আমির। 

আট বয়সী আছিয়া মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিন সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ