গরুবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, ২ ব্যবসায়ী নিহত
Published: 31st, May 2025 GMT
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় গরুবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুই ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তবে ট্রাকে থাকা ১৪টি গরুর মধ্যে ১২টি জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে উপজেলার বাংলাদেশ হাট এলাকার এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় গান্ধীমারা হাইওয়ে থানার ওসি হারুন অর রশিদ।
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৩০) এবং একই এলাকার খবির (৪০)।
ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, কুষ্টিয়া থেকে গরু বোঝাই করে একটি ট্রাক ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় ট্রাকের ভেতর থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ট্রাকে থাকা ১৪টি গরুর মধ্যে ১২টি জীবিত ও দুটি মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, বেপরোয়া গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হছে। এ ছাড়া নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
জাপা ও এনসিপির মামলা নিল পুলিশ
রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলার ঘটনায় দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলাও গ্রহণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার রাতে জাতীয় পার্টি ও শনিবার রাতে এনসিপির পক্ষ থেকে থানায় পরষ্পরবিরোধী এজাহার দাখিল করা হয়। তবে ওই সময় পুলিশ মামলা রেকর্ডভুক্ত করেনি। রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মহানগর কোতয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান।
বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর নগরের সেনপাড়াস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্কাইভিউ বাসভবনে হামলা হয়। হামলাকারীরা বাসভবনের জানালার গ্লাসসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনার সময় জি এম কাদের ওই বাড়িতেই ছিলেন। জাতীয় পার্টির অভিযোগ, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এই হামলা করেছেন।
তবে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, রংপুরে জি এম কাদেরের আগমনের প্রতিবাদে তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জাতীয় পার্টির লোকজন হামলা চালিয়েছে।
হামলার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করতে যান জাতীয় পার্টির নেতারা। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর থানা থেকে বের হয়ে তারা অভিযোগ করেন, থানার ওসি আতাউর রহমান মামলা নেননি। থানা সূত্র জানায়, পার্টির পক্ষে করা ওই মামলার বাদী জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা আরিফ আলী। মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমতি ও এনসিপি নেতা নাহিদ হাসান খন্দকারসহ ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এনসিপির করা মামলার বাদী দলটির রংপুরের সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন। মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটির সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসিরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৮০-৯০ জনকে।
শনিবার রাতে মামলা করতে গিয়ে থানা থেকে ফিরে আলমগীর রহমান নয়ন জানান, মামলা দিতে গেলে ওসি ওপর মহলে কথা বলবেন বলে ঘণ্টা দুয়েক গড়িমসি করেন। শেষে এসে বলেন, তারা অভিযোগটি নিয়েছেন। কিন্তু মামলা রেকর্ড হয়নি।
রোববার রাত ১০টায় কোতয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, রোববারই জাতীয় পার্টি ও এনসিপি দুই পক্ষেরই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামলা দুটি তদন্ত করছেন বলেও জানান তিনি।