হাইকোর্ট মাজার এলাকায় মারধরের শিকার ব্যক্তির মৃত্যু
Published: 31st, May 2025 GMT
রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার এলাকায় মারধরের শিকার হয়ে আলম (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে তিনি মারা যান।
ময়নাতদন্তের জন্য আলমের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর।
শাহবাগ থানার ওসি প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট মাজারের সামনে শুক্রবার বিকেলে ভবঘুরে আলমকে মারধর করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার তিনি মারা যান। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আলমের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণের বোঝা সইতে না পেরে লালপুরে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা
নাটোরের লালপুরে তামাক চাষ করতে গিয়ে বহু টাকা ঋণগ্রস্ত হয়েছিলেন এক দম্পতি। ঋণের বোঝা সইতে না পেরে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ, নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ সোমবার ভোরে লালপুরের আড়বাব ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই দম্পতি হলেন- রইজুল ইসলাম (৪০) ও ফাতেমা খাতুন (৩০)। রইজুল কচুয়া গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রইজুল ইসলাম এ বছর তামাক চাষ শুরু করেন। তামাক চাষ করতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয় তিনি। প্রতিদিনের মতো রোববার রাতেও রইজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাতেমা ঘরে ঘুমাতে যান। সোমবার ভোরে রইজুল ইসলামকে তামাকের ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখা যায়। পরে তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে কয়েকবার ডাকার পর ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের। জানালায় উঁকি দিয়ে ফাতেমা খাতুনকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান সমকালকে বলেন, কৃষক রইজুল ইসলাম খুবই দরিদ্র মানুষ। তার একটি সন্তান আছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়নি। কোম্পানির প্ররোচনায় এবার তারা তামাক চাষ করেছিলেন। অনেক টাকা ঋণ নিয়ে অন্যের জমি উচ্চ টাকায় লিজ নিয়েছিলেন। শিলাবৃষ্টিতে তামাকের ক্ষতি হয়েছে। তামাক বিক্রি করে তেমন লাভবান হতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুনেছি তিনি প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। ঋণের এই টাকার সুদসহ তিনি কোনোভাবেই পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এজন্যই ভোরে তিনি ও তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
লালপুর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক মোমিনুজ্জামান নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে সমকালকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে অতিরিক্ত ঋণের বোঝা সইতে না পেরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।