মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর হাকালুকি হাওর থেকে লোকমান মিয়া (৩৮) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের হাওরে লাশটি পাওয়া যায়।

নিহত লোকমান কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নের রফিনগর গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে।

স্বজনদের থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লোকমানের চাচা আবদুল খালেকের একটি গরু রফিনগর হাওর থেকে হারিয়ে যায়। গরুটি খুঁজে না পেয়ে পরদিন শুক্রবার সকালে লোকমানসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য গরু খুঁজতে বের হন। অন্যরা বাড়ি ফিরে এলেও লোকমান আর ফেরেননি। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী রাহেলা বেগম গতকাল শনিবার বিকেলে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

লোকমানের চাচাতো ভাই সোয়েব আহমদ বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন ভূকশিমইল ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরে একটি লাশ ভাসতে দেখেন। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি লোকমানের বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ লোকমানের লাশ পাওয়া গেছে বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। লাশ উদ্ধারের পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল কম ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ