ফটিকছড়িতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
Published: 1st, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৪৫টি গরুর হাট বসেছে। এবার পশুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় বাজারে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন ক্রেতারা।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবছর কোরবানির জন্য ফটিকছড়িতে পশুর চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার হলেও প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার পশু। এর মধ্যে ৩৪,২১১টি গরু, ৪,১১২টি মহিষ, ২৮,৭৪০টি ছাগল এবং ২,৩৫৬টি ভেড়া রয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় ২০ হাজারের বেশি কোরবানিযোগ্য পশু বাজারে এসেছে।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রচুর গরু এনেছেন। কেউ কেউ খামার থেকেই গরু বিক্রি করছেন। শতাব্দী অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মোহাম্মদ এনাম জানান, তিনি খামারে ২০টি গরু লালন করেছেন এবং খামার থেকেই বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে।
হারুয়াছড়ি ইউনিয়নের খামারি মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, তিনি বড়-ছোট মিলিয়ে ৫০টির বেশি গরু এনেছেন এবং ইতোমধ্যে কিছু গরু বিক্রি হয়ে গেছে। নানুপুর ইউনিয়নের মো.
তবে হাটে পশু বিক্রি এখনও পুরোপুরি জমে ওঠেনি, তবে বিক্রেতারা আশা করছেন কয়েকদিনের মধ্যেই বেচাকেনা বাড়বে।
পাশাপাশি, সড়কে পশুর হাট বসিয়ে জনদুর্ভোগ এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, এবার কোনো মহাসড়কে বা অননুমোদিত স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসবে না।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মোমিন জানিয়েছেন, প্রতিটি হাটে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে ভেটেরিনারি সার্জনরা পশুদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’