চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৪৫টি গরুর হাট বসেছে। এবার পশুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় বাজারে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন ক্রেতারা।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবছর কোরবানির জন্য ফটিকছড়িতে পশুর চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার হলেও প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার পশু। এর মধ্যে ৩৪,২১১টি গরু, ৪,১১২টি মহিষ, ২৮,৭৪০টি ছাগল এবং ২,৩৫৬টি ভেড়া রয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় ২০ হাজারের বেশি কোরবানিযোগ্য পশু বাজারে এসেছে।

উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রচুর গরু এনেছেন। কেউ কেউ খামার থেকেই গরু বিক্রি করছেন। শতাব্দী অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মোহাম্মদ এনাম জানান, তিনি খামারে ২০টি গরু লালন করেছেন এবং খামার থেকেই বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে।

হারুয়াছড়ি ইউনিয়নের খামারি মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, তিনি বড়-ছোট মিলিয়ে ৫০টির বেশি গরু এনেছেন এবং ইতোমধ্যে কিছু গরু বিক্রি হয়ে গেছে। নানুপুর ইউনিয়নের মো.

রাসেদ তার দুটি উন্নত জাতের গরু “কালা মানিক”-এর দাম হাঁকিয়েছেন ২২ লাখ টাকা।

তবে হাটে পশু বিক্রি এখনও পুরোপুরি জমে ওঠেনি, তবে বিক্রেতারা আশা করছেন কয়েকদিনের মধ্যেই বেচাকেনা বাড়বে।

পাশাপাশি, সড়কে পশুর হাট বসিয়ে জনদুর্ভোগ এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, এবার কোনো মহাসড়কে বা অননুমোদিত স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসবে না।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মোমিন জানিয়েছেন, প্রতিটি হাটে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে ভেটেরিনারি সার্জনরা পশুদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেবেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের শীর্ষ ১০ আইকনিক ফুটবল স্টেডিয়াম

১সিগনাল ইদুনা পার্ক | ডর্টমুন্ড, জার্মানি সিগনাল ইদুনা পার্ক

সম্পর্কিত নিবন্ধ