দেশকে ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত করতে হলে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা। প্লাস্টিক দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় এখনই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলেও মত দিয়েছেন তারা। রোববার ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়’ প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার মোড়ে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এই মত দেন। চট্টগ্রামের পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতায় উদ্দ্যোগী বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনের কর্মীরাও মানববন্ধনে অংশ নেন।

সনাক-টিআইবি চট্টগ্রামের সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- ব্রাইড বাংলাদেশ ফোরামের প্রোগ্রাম অফিসার পিকু দাশ জয়, দুঃস্থ সহায়তা কেন্দ্রের প্রোজেক্ট ম্যানেজার আরেফাতুল জান্নাত, ওয়াইডব্লিউসিএর পান্না সেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সনাক-টিআইবি চট্টগ্রামের সদস্য সঞ্জয় বিশ্বাস প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সনাক-টিআইবি চট্টগ্রামের সাবেক দলনেতা মিরাজুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত করতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই। পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করাও জরুরি। প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে হবে। নদী, বন ও পরিবেশের সঙ্গে জড়িত এলাকাগুলোকে প্লাস্টিকমুক্ত রাখতে নিতে হবে আলাদা কর্মপরিকল্পনা। সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিবেশ-সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো দরকার।

বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্ব ব্যাংক প্রণীত একটি অ্যাকশন প্ল্যান নীতিগতভাবে গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি জেলা কার্যালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জনের যে নির্দেশনা প্রদান করেছে, তা যেন শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না থাকে। সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হতে হবে। একইসঙ্গে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় গৃহীত সব কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের অর্থবহ সচেতনতা ও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণ রোধে সার্বিকভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় আইন ভঙ্গকারী এবং প্লাস্টিক দূষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের কার্যকর জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য সনাক-টিআইবি জোর দাবি জানায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট আইব পর ব শ ত করত

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচির ঘোষণা অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ (ক্যাডেট) উপপরিদর্শকেরা। এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়কের এক পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। অব্যাহতি পাওয়া ৪০তম ব্যাচের শিক্ষানবিশ (ক্যাডেট) উপপরিদর্শকদের পক্ষ থেকে এসআই রকিবুল হাসান এই ঘোষণা দেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। সেগুলোতে লেখা ছিল—‘এক বছরের পরিশ্রম, বৃথা কেন জানতে চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই, চাকরি পুনর্বহাল চাই’, ‘রাষ্ট্রের বোঝা নয়, সেবক হতে চাই’, ‘বেতন ছাড়া ৩৬৫ দিন, আমার চাকরি ফিরিয়ে দিন’, ‘লাল সবুজের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’।

অব্যাহতি পাওয়া এসআই রকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতির পর আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সবার কাছে আমাদের দাবি জানিয়েছি। সর্বশেষ গত ১৯ মে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। কিন্তু উনি ব্যস্ততার কারণে ওই দিন দেখা করতে পারেননি।’

আরও পড়ুনপুলিশ সদর দপ্তরের সামনে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের মানববন্ধন১৯ মে ২০২৫

রকিবুল আরও বলেন, ‘পুলিশের মহাপরিদর্শক এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সঙ্গে দেখা করার কথা বললেও দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। তাই আমরা আবার এসেছি। এখন থেকে চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে আমাদের টানা কর্মসূচি চলবে।’

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এসআইদের ভাষ্য, প্রশিক্ষণরত অবস্থায় অন্যায়ভাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে চার ধাপে ৩২১ জনকে চাকিরচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যূনতম সুযোগ দেওয়া হয়নি। অব্যাহতির পর ছয় মাস ধরে সরকারের কাছে দাবি জানালেও কেউ তাঁদের কথা শুনছেন না। বাধ্য হয়ে তাঁরা আইজিপির কাছে এসেছেন। কিন্তু তিনিও দেখা করছেন না। তাই এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানববন্ধন করবেন তাঁরা।

রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে চার ধাপে ৪০তম ব্যাচের ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নাশতা না খেয়ে হট্টগোল, প্রশিক্ষকের আদেশ না শোনা, অমনোযোগিতার মতো কারণ দেখিয়ে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতি পাওয়ার পর থেকে তাঁরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
  • চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচির ঘোষণা অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের
  • কুয়েটে প্রশাসনিক শূন্যতায় বেতন-ভাতা বন্ধ, তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন
  • ঈদের আগে বেতন বোনাস দাবি কুয়েট শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • ফতুল্লার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান
  • চুয়াডাঙ্গায় পাউবোর কর্মচারীকে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ
  • মুন্সীগঞ্জে গুমে জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন