জামায়াত আমির গোপনে দোহা যাননি, বিবৃতি দলের
Published: 1st, June 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান অতি সম্প্রতি গোপনে কাতারের রাজধানী দোহা সফর করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, তা সত্য নয়। তিনি দেশেই ছিলেন, দোহা কিংবা অন্য কোনো দেশ সফর করেননি। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম আজ রোববার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।
জনগণের কাছে হেয়প্রতিপন্ন ও বিতর্কিত করার হীন উদ্দেশ্যেই জামায়াত আমিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) ছড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাওলানা এ টি এম মা’ছুম।
বিবৃতিতে জামায়াত আমিরের গত ২৮–৩১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠানসূচি উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ২৮ মে সকালে কারামুক্ত এ টি এম আজহারুল ইসলামকে সংবর্ধনা, বিকেলে মগবাজারে তাঁর সঙ্গে মতবিনিময় এবং প্রয়াত জামায়াত নেতা গোলাম আযম, আবদুর রাজ্জাক এবং এ টি এম আজহারুল ইসলামের স্ত্রীর কবর জিয়ারত করেন জামায়াতের আমির।
এতে উল্লেখ করা হয়, ২৯ মে সারা দিন বসুন্ধরায় নিজ বাসায় এবং রাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করেন শফিকুর রহমান। ৩০ মে সকালে তিনি ছাত্রশিবিরের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেছেন এবং সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৩১ মে জামায়াতের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের জেলা ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্যদের দুই দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াত আমির শফিকুর রহমান। সেদিন সকালে তিনি বিমানে করে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর যান এবং সন্ধ্যায় সৈয়দপুর থেকে ঢাকায় অবতরণ করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত আম র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?