‘দ্য ফ্যামিলি হাস্টল’এর শেষ পর্বে একসঙ্গে হাজির হলেন বলিউডের দুই ব্যতিক্রমী নির্মাতা আনুরাগ কাশ্যপ ও রাম গোপাল ভার্মা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ডিস্ট্রিবিউটর ও এক্সহিবিটর অক্ষয় রাঠি। এই প্রথমবার এক ফ্রেমে দেখা গেল দুই আলোচিত পরিচালককে। আর দেখা মাত্রই শুরু হল স্মৃতিচারণা, সমসাময়িক সিনেমা নিয়ে বিশ্লেষণ এবং কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য।

আনুরাগ কাশ্যপ সরাসরি বলেন, “সাইরাট যখন ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকল, তখন ভেবেছিলাম-এটাই হতে পারে নতুন লক্ষ্য। কিন্তু সেখান থেকে সবাই ফর্মুলা ফলো করতে শুরু করল। এখন ‘কেজিএফ’, ‘সালার’-এর পর মনে হয় সব ছবির। কালার গ্রেডিং একই রকম! যেমন ‘অ্যানিম্যাল’-এ গোর আর হিংস্রতা কাজ করেছে দেখে এখন সবাই সেটাই জুড়ে দিচ্ছে। কারণ ছাড়াই! এটা ভয়ংকর প্রবণতা।”

আর রাম গোপাল ভার্মা বলেন, “আমি ‘সত্য’ বানানোর সময় কখনো ভাবিনি বাজেট কমাতে হবে। যা দরকার ছিল, সেটাই খরচ করেছি। আর তাতেই ছবির রিয়েলিজম এসেছে। উল্টো যদি ৫ কোটি টাকা বেশি খরচ করতাম, ছবির কোয়ালিটিই কমে যেত!”

তিনি আরও যোগ করেন, “বাহুবলি’-এর পর থেকেই একটা মানসিকতা তৈরি হয়েছে। বেশি খরচ করলেই ছবি ভালো হবে। ব্যাপারটা মোটেও টাকা বাঁচানোর নয় বরং আপনি ইমোশন নষ্ট করছেন বাজে প্রোডাকশন ভ্যালু দিয়ে। গল্পের আবেগে কেটে যাচ্ছে কৃত্রিমতা।”

সবচেয়ে চমকে দেওয়া তথ্যটি দেন আনুরাগ কাশ্যপ। তিনি বলেন, “একজন পরিচালক (নাম প্রকাশ করেননি) একটা ছবিতে দারুণ ভিএফএক্স ব্যবহার করেছিলেন। ছবিটা দেখে বললেন, ‘ভিএফএক্স আছে, এটা তো বোঝাই যাচ্ছে না!’ তাই পরে ইচ্ছে করে ভিএফএক্স খারাপ করা হয়, যাতে দর্শক বুঝতে পারে। এটা স্পেশাল ইফেক্ট’!”

এই আলোচনায় আরও উঠে আসে। ফিল্মমেকাররা কনভিকশন বা নিজের বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে নয়, বরং ট্রেন্ড বা অন্যের কথায় সিনেমা বানাচ্ছেন, যার ফলশ্রুতিতে একঘেয়ে ভিজ্যুয়াল ও আবেগহীন গল্প উঠে আসছে পর্দায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ এফএক স

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।

বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।

ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ