অন্তর্বর্তী সরকার আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন। আজ দুপুর ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তব্য দেন। সংসদ না থাকায় এবারের ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয়েছে।

বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনীতিকে সচল রাখতে জ্বালানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং একইসঙ্গে তা যথাসম্ভব সাশ্রয়ী রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে নীতিগতভাবে আমরা বিদ্যুতের মূল্য আপাতত; না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতে প্রদত্ত ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিগুলোও পর্যালোচনা করছি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় কমাতে এনার্জি অডিট করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ বছরের মধ্যেই অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করার এবং ২০২৮ সালের মধ্যে স্থানীয় কূপ থেকে অতিরিক্ত ১৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব জ ট ২০২৫ ২৬

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পেন্টাগনের সায়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে হোয়াইট হাউসকে সবুজ সংকেত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। প্রতিরক্ষা দপ্তর মনে করছে, এই সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্রের টমাহক মজুতের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে। বিষয়টি সম্পর্কে জানাশোনা আছে এমন তিনজন মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে অক্টোবর মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিতে চান না। কারণ হিসেবে তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য যে জিনিসগুলো প্রয়োজন, সেগুলো আমরা কাউকে দিতে চাই না।’

পেন্টাগনের জয়েন্ট স্টাফ তাদের মূল্যায়ন হোয়াইট হাউসকে অক্টোবর মাসেই জানিয়েছিল, ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকের ঠিক আগে। জেলেনস্কি রাশিয়ার অভ্যন্তরে আরও কার্যকরভাবে তেল ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ করে আসছিলেন। টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার।

যুক্তরাষ্ট্রের এই মূল্যায়ন ইউরোপীয় মিত্রদের উৎসাহিত করেছে। দুই ইউরোপীয় কর্মকর্তা বলেন, এখন ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ না করার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অজুহাত দেখানোর মতো তেমন আর কিছু নেই বলে তাঁরা মনে করেন। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের কয়েক দিন আগে ট্রাম্প নিজেও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘অনেক টমাহক’ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা তারা ইউক্রেনকে দিতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন কয়েকদিন পর নাটকীয়ভাবে তাঁর মনোভাব পরিবর্তন করেন, এতে মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা অবাক হন। হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘প্রয়োজন’। এরপর রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি জেলেনস্কিকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র এই ক্ষেপণাস্ত্র দেবে না—অন্তত এই মুহূর্তে নয়।

যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে, তবে একটি বড় প্রশ্ন থেকে যায় ইউক্রেন সেগুলো কীভাবে উৎক্ষেপণ করবে। সাধারণত, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু ইউক্রেনের নৌবাহিনী এখন মারাত্মকভাবে দুর্বল।

সিএনএনের প্রতিবেদনে তখন বলা হয়েছিল, এই সিদ্ধান্তের ঠিক এক দিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। পুতিন ট্রাম্পকে জানান, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবার্গের মতো বড় রুশ শহরগুলোতে আঘাত হানতে পারে। এটি যুদ্ধক্ষেত্রে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের ক্ষতি করবে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

তবে সূত্রগুলো সিএনএন-কে আগেই জানিয়েছিল, ট্রাম্প ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি পুরোপুরি বাতিল করেননি। যদি ট্রাম্প নির্দেশ দেন, তবে দ্রুত ইউক্রেনকে সেগুলো সরবরাহ করার জন্য প্রশাসন পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছে।

সম্প্রতি শান্তি আলোচনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে পুতিনের অনীহায় ট্রাম্প এতটাই হতাশ হয়েছেন যে, তিনি গত সপ্তাহে রুশ তেল কোম্পানিগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। একই সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করার জন্য পুতিনের সঙ্গে বুদাপেস্টে যে বৈঠক হওয়ার কথা, তা আপাতত বাতিল করেছেন।

যদিও পেন্টাগনের মজুত নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই, তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এখনো ভাবছেন, ইউক্রেন কীভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নেবে এবং সেগুলো মোতায়েন করবে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, ইউক্রেন যাতে কার্যকরভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য এখনো বেশ কিছু প্রায়োগিক বিষয় সমাধান করা দরকার।

হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৭ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টানা তিন মাস কমল দেশের পণ্য রপ্তানি
  • দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে
  • বেসরকারি ঋণ তলানিতে, তবে ঋণপত্র খোলায় গতি
  • বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া
  • টানা দুই মাস আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে
  • টমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না
  • তিন মাসে গৃহকর আদায় কমেছে ৩০ কোটি টাকা
  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
  • সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 
  • ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পেন্টাগনের সায়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প