গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ
Published: 2nd, June 2025 GMT
প্রস্তাবিত ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, শিগগির জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।
উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। এক্ষেত্রে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।
বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়ে ব্যক্ত করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন আহতদ র জন য প রস ত ব বর দ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশ। এ কারণে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে বিটিভিসহ দেশের সব টেলিভিশনে একযোগে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট তুলে ধরেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে বায়ু, পানি ও মাটিদূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি, স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রভাব বিশ্লেষণ, নারীর অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, উপকূলীয় ইকোসিস্টেম মূল্যায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে গণমাধ্যমের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এই বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডকে কেন্দ্র করেই দেশের অভিযোজনমুখী কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে যেসব বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে—নগর ও গ্রামীণ অঞ্চলে বায়ু ও পানিদূষণ রোধে প্রকল্প গ্রহণ, উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে টেকসই কৃষি ও পানীয়জলের ব্যবস্থা, নারীদের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করা, গণমাধ্যম ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং শিশু, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য জলবায়ু সুরক্ষার নির্দিষ্ট কর্মসূচি।
ঢাকা/এনএফ/রফিক