Risingbd:
2025-11-04@06:05:01 GMT

ইমার্জিং এশিয়া কাপ স্থগিত

Published: 2nd, June 2025 GMT

ইমার্জিং এশিয়া কাপ স্থগিত

ক্রিকেট শুধু মাঠের খেলা নয় এটি এখন আবহাওয়া, রাজনীতি আর স্বাস্থ্যঝুঁকির সমন্বিত এক বাস্তবতা। এর প্রমাণ মিলল নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ ২০২৫ উপলক্ষে। ৬ জুন শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই বহুল প্রত্যাশিত টুর্নামেন্টের, তবে সেটি আপাতত ঝুলে গেল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এর পক্ষ থেকে টুর্নামেন্ট স্থগিতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর ক্রিকেট মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। কারণ একটিমাত্র নয়—জটিলতা সৃষ্টি করেছে একসঙ্গে কয়েকটি ফ্যাক্টর।

শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর শক্তিশালী রূপ ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগেই। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ আশঙ্কা করেছিল, টানা বৃষ্টিতে খেলা মাঠে গড়ানো তো দূরের কথা, স্বাভাবিক জীবনযাপনই হবে বিপর্যস্ত। এমন অবস্থায় একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যেমন অযৌক্তিক, তেমনি ঝুঁকিপূর্ণও।

আরও উদ্বেগের নাম চিকুনগুনিয়া। ২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে ভয়াবহভাবে ফিরে এসেছে এই মশাবাহিত ভাইরাসজনিত জ্বর। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা শ্রীলঙ্কাকে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ তালিকাভুক্ত করেছে। মে মাসেও বেশ কিছু প্রদেশে এর প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) বোর্ডের চেয়ারম্যান শাম্মি ডি সিলভা বিষয়টি নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এসিসি সভাপতির কাছে। তাতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের অব্যবস্থা, আবহাওয়া ও ভাইরাস পরিস্থিতির বিস্তারিত বিশ্লেষণ তুলে ধরার পরই এসিসি সিদ্ধান্ত নেয় টুর্নামেন্ট স্থগিত করার।

এর আগে কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণে ভারত এই টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়াতে পারে। যদিও এসিসির আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সে বিষয়টি স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি, তবে এটি যে আলোচনার পেছনে থেকেছে, তা অস্বীকার করা যায় না।

নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু হয়েছিল হংকংয়ে। প্রথম আসরে ভারত ‘এ’ দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ৩১ রানে হারিয়ে। সেই আসরের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল। এবার দ্বিতীয় আসরের অপেক্ষায় ছিল পুরো এশিয়া, কিন্তু বাস্তবতা হলো—প্রতীক্ষা আরও দীর্ঘ হলো।

টুর্নামেন্ট পুনঃনির্ধারণের তারিখ এখনো প্রকাশ করেনি এসিসি। তবে তারা জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নতুন সময়সূচি পরে জানানো হবে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ