জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে জামালপুর থেকে আত্মসাৎ করে রাখা সরকারি চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) আনোয়ার সাত্তারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক ব্যক্তি জামালপুরের ইসলামপুর থানার গাওকুড়া এলাকা থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, ওই এলাকার আসাদ-ঢালী রাইস মিলে বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল আত্মসাৎ করে রাখা হয়েছে। বিক্রয়ের জন্য সরকারি বস্তা বদলে অন্য বস্তায় ভরা হচ্ছে। তিনি চাল উদ্ধারের জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে কর্তব্যরত পুলিশের সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে জামালপুরের ইসলামপুর থানায় বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যুক্ত হন। তল্লাশি শেষে আসাদ–ঢালী রাইস মিল থেকে বিক্রয় ও পাচারের উদ্দেশ্যে মজুত করে রাখা ২০৬টি চালের বস্তা উদ্ধার করা হয়। এসব বস্তায় ১০ হাজার ২০০ কেজি চাল ছিল। এ ঘটনায় রাইস মিলের মালিক আরিফ মাহমুদ (৫০) এবং বিক্রেতা মো.

সভা আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খবর পেয়ে পুলিশ চালের কারখানায় গিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত বস্তা উদ্ধার করে। আত্মসাৎ করা চাল সরকারি বস্তা বদলে নুরজাহান লেখা সাদা ও লাল রঙের বস্তায় ভরা হচ্ছিল। গ্রেপ্তার আসামিরাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ সাইফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্প্রতি সরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনা বেড়েছে। এক মাসের মধ্যে ইসলামপুর থানায় তিনটি চাল আত্মসাতের মামলা হয়েছে। দুই দিন আগেও ৬০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে ২০৬ বস্তা উদ্ধার করেছি। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বস ত য় সরক র ৯৯৯ এ

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চুয়াডাঙ্গা জেলার সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ১৯ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে খাজা আমিরুল বাশারকে প্রধান সমন্বয়কারী এবং আমির হোসেনকে প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে।

দলটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর স্বাক্ষরিত প্যাডে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে ১ জন প্রধান সমন্বয়কারী, ৪ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ১৪ জন সদস্য রয়েছেন। কমিটির সদস্যদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর ছাড়াও দামুড়হুদা, জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার নেতারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন নুর ই আরাফাত হিরন, মো. বদর উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল মামুন। সদস্যরা হলেন শাহীন কাউসার, মো. মোসলেম উদ্দিন, সাঈদ শেখ, মো. মাসুদুর রহমান, মো. রাশেদুজ্জামান রাতুল, তন্ময় ইসলাম, বেবী নাজনীন, মো. আবদুর রাব্বি, মোস্তফা কামাল রিঙ্কু, তানভীর ফয়সাল, জি এম সোহেল পারভেজ, আকিদুল ইসলাম, মো. বরকত উল্লাহ ও মো. হাসানুজ্জামান।

প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আমিরুল বাশার একটি বিমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী আমির হোসেন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন এবং এনসিপির রাজনীতিতে যুক্ত হন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘সবার সঙ্গে আলোচনা করেই প্রাথমিকভাবে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলের মাধ্যমে পরবর্তী আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হবে। আমরা আশা করি, এই কমিটি চুয়াডাঙ্গায় নতুন ধারার রাজনীতির সূচনা করবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ