গ্যাস সংকট কাটাতে অন্তর্বর্তী সরকার তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের চেয়ে (২০২৪-২৫) আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সার্বিক বাজেট বরাদ্দ কমেছে।
আগামী অর্থবছরের জন্য জ্বালানি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমে হয়েছে ১ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য আগামী বাজেটে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২০ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে আনা হয় ২১ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় সোমবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খরচ কমাতে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিগুলোও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিশেষ বিধান বাতিল করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তি পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাপেক্স ৬৯টি কূপ খনন এবং ৩১টি কূপ ওয়ার্কওভার করবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা, ২০০৮ যুগোপযোগী করা হচ্ছে। ২০৪০ সালের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর দ দ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা