ঢালিউড সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন বাংলা নাটকের জনপ্রিয় নায়িকা সাবিলা নূর।  রায়হান রাফীর পরিচালনায় ‘তাণ্ডব’ -এ অভিনয় করে টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছেন সাবিলা। এই সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে দশ দিনের মতো শাকিব খানকে একেবারে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন সাবিলা। কেমন কেটেছে এই দশদিন? এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সাবিলা নূর। 

সাবিলা নূর বলেন, ‘‘তাণ্ডবের শুটিং সেটে শাকিব খানের সঙ্গে আমার ১০ দিনের মতো শুটিং হয়েছে।শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে শুরুতে নার্ভাসনেস ছিলাম। সিনেমার অনেক কিছুইতো অন্যরকম। আমি যেহেতু অনেক বছর ধরে নাটকে কাজ করেছি, সুতরাং আমি নাটকের কাজের প্রসেসটা জানি। সেক্ষেত্রে ভয় ছিল। সেক্ষেত্রে প্রথম দিনেই, প্রথম সিনেই মেগাস্টার শাকিব খানের সঙ্গেই সিকোয়েন্স। যে নারভাসনেসটা ছিল সেটা আসলে শাকিব খানের কারণেই দূর হযে গেছে। ’’

সেটে থাকার সময় নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে পছন্দ করেন সাবিলা। শাকিব খানও নাকি তার মতোই। 

আরো পড়ুন:

শাকিব-সাবিলার লিচুর বাগানে ‘তাণ্ডব’ চলছে

শাকিবের নায়িকা ইধিকার ‘বহুরূপ’

সাবিলা নূর বলেন, ‘‘উনি (শাকিব খান) সেটে সব সময় নিজের মতো করে থাকেন। সিন কী হবে? এটা নিয়ে চিন্তা করেন।’’

সাবিলা নূর আরও বলেন, ‘‘যখন পরিচালক অ্যাকশন বলেছেন, তখন আর উনাকে শাকিব খান মনে হয়নি। তখন আমার যে ক্যারেকটার নিশাতের ক্যারেকটারের সঙ্গে আমি আসলে উনাকে স্বাধীন হিসেবে ভেবে নিয়েছিলাম। সেটে উনি যতক্ষণ থাকেন, উনি যে এতো বড় মেগাস্টার- এটা কাউকে বুঝতে দেন না। উনি গল্প নিয়ে অনেক-অনেক ভাবেন। আমার কাছে মনে হয়েছে, উনি ফিউচারে আরও ভালো করতে চান এই ব্যাপারটা উনার মধ্যে সব সময় থাকে।  আমি চাই যে এই জিনিসটা যেন আমিও করতে পারি।’ ’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ছোট গরুর বড় দাম

এক দিন পরই ঈদুল আজহা। কোরবানির এই উৎসবকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে জমজমাট চট্টগ্রামের ২২৮টি স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাট। প্রায় প্রতিটি হাটে এসেছে পর্যাপ্ত পশু। তবে দাম বেশ চড়া।

চট্টগ্রামে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের চাহিদা ছোট আকারের গরুর। তাই ব্যাপারীরা ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি নিয়ে এসেছেন। তবে আকার ছোট হলেও এসব গরুর দাম বেশি হাঁকছেন বিক্রেতা। গোখাদ্যের দাম ও পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে ছোট গরুর দাম বেশি বলে দাবি করছেন তারা।

ওজনভিত্তিক গরুর আকার প্রসঙ্গে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর জানান, সাধারণত এক থেকে দুই মণ ওজনের গরু ছোট আকারের। দুই থেকে তিন মণ ওজনের গরু মাঝারি এবং এর ওপরের ওজনের গরু বড় আকারের। চট্টগ্রামে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। জোগানও রয়েছে। বড় খামারে দুই হাজার কেজি ওজনের (প্রায় ৫০ মণ) বেশ কিছু গরু আনা হয়েছে।

হামজারবাগ থেকে গতকাল বুধবার তিন ছেলেকে নিয়ে নগরের বিবিরহাটে কোরবানির গরু কিনতে এসেছেন দুই চাকরিজীবী মো. লোকমান ও মো. ইমন। সামর্থ্য না থাকায় দুই পরিবার এবার এক গরু দিয়ে কোরবানি করবে। বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা বেশ কিছু গরু দেখেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দেখেও গরু না কিনে বাজার থেকে বের হতে দেখা যায় তাদের। 

জানতে চাইলে মো. লোকমান বলেন, ‘আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই একই ভবনের আরেক পরিবারের সঙ্গে এবার কোরবানি করতে ছোট গরু কিনতে এসেছি। বাজারে ছোট ও মাঝারি গরু পর্যাপ্ত থাকলেও দাম বেশি। গতবার যেসব গরু ৬০ থেকে ৭০ হাজারে কেনা গেছে, এবার তার দাম চাইছে ১ লাখ ২০ হাজারের ওপরে।’

মো. ইমন বলেন, ‘ছোট অনেক গরু দেখে একটিও কিনতে পারিনি। কারণ গরু পছন্দ হলেও দাম বাজেটের চেয়ে বেশি। ছোট একটি গরুর দাম কেমনে লাখ টাকার ওপরে হয়? এত দাম দিয়ে কীভাবে কোরবানির পশু কিনবে মধ্যবিত্তরা? কোরবানি ঘনিয়ে এলেও দাম ছাড়ছেন না ব্যাপারীরা।’ এ দুই ক্রেতার মতো দাম বেশি নিয়ে হতাশার কথা প্রকাশের পাশাপাশি অনেকে ঝাড়লেন ক্ষোভও।

ভোলার লালমোহন থেকে দুই ট্রাক গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী মো. ইদ্রিস বলেন, ‘বাজারে এবার ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তাই ছোট গরু বেশি এনেছি। তবে বেশির ভাগ ক্রেতা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এবার ছোট গরুর দাম কিছুটা বেশি।’ কুমিল্লা থেকে ৩০টি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী মাহি উদ্দিন। এর মধ্যে ২০টি ছোট। মাহি উদ্দিন বলেন, ‘বড় গরু কেনে খুব কম মানুষ। বাজারে ছোট গরুর ক্রেতার সমাগম থাকলেও বিক্রি কম। বেশির ভাগ ক্রেতা দরদাম করছে কেবল। গরুর লালন-পালন খরচ বেশি। তাই সামান্য লাভে বিক্রি করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।’

চট্টগ্রামের পশুর হাটে কুমিল্লা, ফেনী, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহী, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশির ভাগ পশু আসে। এবার চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলার ২২৮টি স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাটে গত ২৯ মে থেকে পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। নগরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ব্যবস্থাপনায় ১৩টি স্থায়ী-অস্থায়ী হাট বসেছে। এর মধ্যে বিবিরহাট, সাগরিকা ও নূরনগর হাউজিং সোসাইটির হাট বড়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, এবার পশুর চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। এর বিপরীতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি, যা গতবার ছিল ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯টি। উৎপাদিত পশুর মধ্যে গরু আছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৩টি। হাট মনিটরিংয়ে ৬৬টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ