চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে আবারও আটজন বাংলা ভাষাভাষীকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভারতের আলিপুর সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।

ভারতের আলিপুরের বিপরীতে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার চাঁদশিকারি সীমান্ত দিয়ে পুশইন হওয়াদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও চারজন নারী রয়েছেন।

ভোলাহাট এক নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আখতারুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন পুরুষকে বিজিবি সদস্যরা ভারত থেকে আসার সময় আটক করেছে বলে শুনেছি। তবে এর বেশি কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, ভোলাহাট উপজেলার চাঁদ শিকারি সীমান্ত দিয়ে ভারতের বিএসএফ সদস্যরা আটজন বাংলা ভাষাভাষীকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে। বিজিবি তাদের আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 
এর আগে ২৭ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিভীষণ সীমান্তে ১৭ জনকে পুশইন করে বিএসএফ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শইন ব এসএফ চ প ইনব বগঞ জ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন দুই মেয়ে

সীমান্তের ওপারে ভারতে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শেষবারের মতো প্রিয় মুখখানি দেখতে সেখানে ছুটে যেতে চান এপারে বসবাসকারী দুই মেয়ে। কিন্তু মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই দেশের সীমান্ত, যা পাসপোর্ট–ভিসা ছাড়া পাড়ি দেওয়া যায় না।
তবে শেষ পর্যন্ত মায়ের লাশের কাছে পৌঁছাতে দুই মেয়ের ভিসা–পাসপোর্টের দরকার পড়েনি। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মানবিক উদ্যোগে সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখার সুযোগ মেলে তাঁদের।

আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার জগন্নাথপুর সীমান্তচৌকির বিপরীতে ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার গোংরা এলাকায় লোজিনা বেগমের (৮০) লাশ দেখার জন্য এই সুযোগ করে দেওয়া হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এমন উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ দুপুরে বিজিবির চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) পরিচালক, অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দামুড়হুদার জগন্নাথপুর সীমান্তচৌকির (বিওপি) দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৯৬/৮–এসের বিপরীতে ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোংরা বিএসএফ ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা। সেখানে নদীয়া জেলার চাপড়া থানার গোংরা গ্রামে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিক ফকির চানের স্ত্রী লোজিনা বেগম শারীরিক অসুস্থতার কারণে গতকাল সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে মৃত্যুবরণ করেন। বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামে বসবাস করেন লোজিনা বেগমের দুই মেয়ে বরকতি বেগম (৪৫) ও কুলসুম বেগম (৪০)। মায়ের মৃত্যুর খবরে দিশাহারা হয়ে পড়েন তাঁরা।

বিজিবি আরও জানায়, ভারতীয় ভূখণ্ডে মৃত্যুবরণকারী মাকে শেষবারের মতো দেখতে দুই মেয়েসহ নিকটাত্মীয়রা বিজিবির জগন্নাথপুর সীমান্তচৌকির কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. আবুল হাসানকে অনুরোধ করেন। এমন অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফের সমন্বয়ে মানবতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৯৬/৮–এসের কাছে শূন্যরেখায় আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে লাশ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। মারা যাওয়া নারীর দুই মেয়েসহ দুই দেশের নাগরিক ও নিকটাত্মীয়দের উপস্থিতিতে সেখানে বেদনাবিধুর পরিবেশ তৈরি হয়।

বিজিবি–বিএসএফের পাহারায় সীমান্তের শূন্যরেখায় মায়ের লাশ দেখার সুযোগ পান দুই মেয়ে। আজ মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর সীমান্তে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনুপ্রবেশের অভিযোগে জনতার হাতে অস্ত্রসহ আটক বিএসএফ সদস্য
  • নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
  • নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে আটক বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দিল বিজিবি
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ সদস্য আটক 
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ সদস্য আটক
  • আরও ৬৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • শূন্যরেখায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন দুই মেয়ে
  • সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন দুই মেয়ে