চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 3rd, June 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে আটজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে বিএসএফ আটজনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়। এর মধ্যে চারজন নারী ও চারজন পুরুষ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, আটক ব্যক্তিরা বিজিবির চাঁনশিকারী সীমান্ত ফাঁড়িতে আছেন। তাঁদের ভোলাহাট থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শূন্যরেখায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন দুই মেয়ে
সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মাকে দেখলেন বাংলাদেশে বসবাসকারী দুই মেয়ে। কাফনে মোড়ানো মায়ের মুখটা দেখে মেয়েদের আহাজারিতে পুরো পরিবেশটাই ভারি হয়ে ওঠে। আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশি দুই মেয়ের আকুতিতে ভারতে বসবাসরত মায়ের মরদেহ দেখার সুযোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বিজিবি সূত্র জানায়, ভারতের নদিয়া জেলার চাপড়া থানার অন্তর্গত গোংরা গ্রামে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিক লোজিনা (৮০) বেগম সোমবার রাতে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ে রেখে গেছেন। তার মধ্যে ২ মেয়ে বিবাহসূত্রে বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়পুর গ্রামে স্বামী-সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
লোজিনা বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত দুই মেয়ে বিজিবির কাছে সীমান্তে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখার অনুমতি চান। বিষয়টি জানার পর চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) জগন্নাথপুর বিওপি এবং ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোংরা ক্যাম্প যৌথভাবে সীমান্তের শূন্যরেখায় মাকে দেখার সুযোগ পান দুই মেয়ে। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তের মেইন পিলার ৯৬/৮-এস এর শূন্যরেখায় এ সময় উভয় দেশের স্বজন ও স্থানীয়রা উপস্থিতি ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুর হাসান জানান, সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি মানবিক বিষয়েও বিজিবি সর্বদা আন্তরিক। এ ধরনের কার্যক্রম পারস্পরিক আস্থা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে।