জাতিসংঘের শ্রম বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) ফিলিস্তিনকে ‘জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন’ থেকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আইএলও’র প্রাথমিক সদস্যপদ পাওয়ার দীর্ঘ ৫ দশকেরও বেশি সময় পর এই স্বীকৃতি পেল ফিলিস্তিন। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

সোমবার (২ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলও’র সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ১১৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আইএলও জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)।

এর আগে চলতি বছরের ১০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর একই মাসে ইউনেস্কো ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একই স্বীকৃতি প্রদান করে। এবার তৃতীয় সংস্থা হিসেবে ফিলিস্তিনকে এ স্বীকৃতি দিলো আইএলও।

আরো পড়ুন:

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৪০০ ছাড়াল

গাজায় ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের গুলি, নিহত ২৬

এই স্বীকৃতির ফলে ফিলিস্তিন আইএলও’র বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবে, আলোচনায় অংশ নিতে পারবে এবং নিজস্ব প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে, যদিও পূর্ণ সদস্যের মতো ভোটাধিকার তাদের থাকবে না।

এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ক্রাইশি বলেন, “ইসরায়েলের পার্লামেন্ট যখন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার প্রস্তাব পাস করেছে, তখন আইএলও’র এই সিদ্ধান্ত সেই প্রতিক্রিয়ার একটি জোরালো ও স্পষ্ট জবাব।”

তিনি জানান, সম্মেলনে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হলে শুধু হাঙ্গেরি ব্যতিক্রম- সকল সদস্যরাষ্ট্রই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।

ইব্রাহিম ক্রাইশি আরো বলেন, “হাঙ্গেরির অবস্থান আমাদের বিস্মিত করেছে। হাঙ্গেরি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৯৮৮ সালে। বিশ্বের বহু রাষ্ট্র তখনও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইএলও র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।

অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।

গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।

দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।

এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ