ফিলিস্তিনকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আইএলও
Published: 3rd, June 2025 GMT
জাতিসংঘের শ্রম বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) ফিলিস্তিনকে ‘জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন’ থেকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আইএলও’র প্রাথমিক সদস্যপদ পাওয়ার দীর্ঘ ৫ দশকেরও বেশি সময় পর এই স্বীকৃতি পেল ফিলিস্তিন। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
সোমবার (২ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলও’র সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ১১৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আইএলও জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)।
এর আগে চলতি বছরের ১০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর একই মাসে ইউনেস্কো ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একই স্বীকৃতি প্রদান করে। এবার তৃতীয় সংস্থা হিসেবে ফিলিস্তিনকে এ স্বীকৃতি দিলো আইএলও।
আরো পড়ুন:
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৪০০ ছাড়াল
গাজায় ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের গুলি, নিহত ২৬
এই স্বীকৃতির ফলে ফিলিস্তিন আইএলও’র বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবে, আলোচনায় অংশ নিতে পারবে এবং নিজস্ব প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে, যদিও পূর্ণ সদস্যের মতো ভোটাধিকার তাদের থাকবে না।
এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ক্রাইশি বলেন, “ইসরায়েলের পার্লামেন্ট যখন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার প্রস্তাব পাস করেছে, তখন আইএলও’র এই সিদ্ধান্ত সেই প্রতিক্রিয়ার একটি জোরালো ও স্পষ্ট জবাব।”
তিনি জানান, সম্মেলনে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হলে শুধু হাঙ্গেরি ব্যতিক্রম- সকল সদস্যরাষ্ট্রই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।
ইব্রাহিম ক্রাইশি আরো বলেন, “হাঙ্গেরির অবস্থান আমাদের বিস্মিত করেছে। হাঙ্গেরি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৯৮৮ সালে। বিশ্বের বহু রাষ্ট্র তখনও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইএলও র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?
মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।
কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।
জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।
১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।
ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া।
অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ।
ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”
ঢাকা/শান্ত