গাইবান্ধায় একটি বাড়ি থেকে দম্পতির ঝলুন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ঢাকেরপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহ দুইটি উদ্ধার হয়।
মারা যাওয়ারা হলেন- রাসেল মিয়া (১৮) ও তার স্ত্রী জুঁই খাতুন (১৫)। রাসেল ঢাকেরপাড়া গ্রামের জাকিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির সহকারী ছিলেন।
বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা বলেন, “তাদের (রাসেল ও জুঁই) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারের সম্মতিতে কিছুদিন আগে তাদের বিয়ে হয়। গতকাল সোমবার তারা একসঙ্গে নদীতে গোসল করে। রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় রাসেলের মা ঘরের দরজার কড়া ধরে ডাকতে থাকেন। কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দেন রাসেলের মা। তিনি দেখতে পান, রাসেল ও তার স্ত্রী ঘরের ভেতর বাঁশের ধরনার সঙ্গে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন।”
আরো পড়ুন:
বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মেজো ভাই খুন
ধামরাইয়ে মা ও ২ ছেলের লাশ উদ্ধার
পলাশবাড়ী থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে জেনেছি, তারা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।