স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ছেলেসন্তানের জন্ম দিলেন নারী, সুস্থ আছেন দুজনে
Published: 3rd, June 2025 GMT
ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। পরে প্রসূতি মা ও শিশুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা উভয়ই সুস্থ আছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই প্রসূতি নারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন। তাঁর অভিভাবকদের বিষয়েও কেউ তথ্য জানাতে পারেননি।
রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, যাত্রী ও চিকিৎসকের সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে ওই গর্ভবতী নারী রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নেন। ওই সময় তাঁকে সেখানে থাকতে নিরুৎসাহিত করেন স্টেশনের কয়েকজন কর্মী। পরে তিনি ফিরে যান। এরপর আবার রাত ১২টার দিকে যাত্রীদের বসার স্থানে আশ্রয় নেন। রাত তিনটার দিকে ওই নারী প্রসব যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন। ওই সময় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। একপর্যায়ে সেখানেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। ওই সময় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যান। পরে ওই প্রসূতি ও নবজাতককে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার বাবুল হোসেন বলেন, ওই নারীকে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখে তিনি ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করেন। পরে রাতেই পুলিশ আসে। ওই নারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রসূতি নারী ও নবজাতক সুস্থ আছেন জানিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক হোসাইন সাফায়েত বলেন, নবজাতকের নিবিড় যত্নের একটি বিষয় আছে, সেটি নিশ্চিত করা হাসপাতালের নার্স-আয়াদের পক্ষে কঠিন। কারণ, হাসপাতালে অধিকাংশ সময় রোগীর চাপ থাকে। সেই চাপ সামলে অতিরিক্ত সেবাদান হাসপাতালের পক্ষে কঠিন। তবু নার্সদের বলা আছে। এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক অসিত সাহা বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানায়নি। তবে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রথমে ওই নারীর পরিবারের স্বজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে। কাউকে না পেলে শিশুটিকে খুলনার বেবি কেয়ার হোম ও মাকে গাজীপুরের ভবঘুরে কেন্দ্রে পাঠানোর সুযোগ আছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওই ন র প রস ত র পদ য়
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন