সহিংসতার শিকার ব্যক্তির জন্য সমন্বিত মানসিক স্বাস্থ্য ও আইনি সহায়তা
Published: 3rd, June 2025 GMT
আজ আপনাদের দুটি সত্য ঘটনার মুখোমুখি করতে চাই। প্রথম ঘটনাটি ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী শামীমার (ছদ্মনাম)। যে বয়সে তার পড়াশোনা করার কথা, সে সময় তার পরিবারের হাল ধরার জন্য পোশাককর্মী হিসেবে নেমে পড়তে হয় জীবনযুদ্ধে। কিন্তু বাসা থেকে গার্মেন্টসে যাওয়ার পথে একটি বখাটে যুবক দ্বারা প্রায়ই সে হয়রানির শিকার হতো। যুবকটি তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে চাইত। শামীমা প্রতিবারই প্রত্যাখ্যান করে যেত।
এক সন্ধ্যায় যুবকটি তার পিছু পিছু বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। প্রতিবেশীরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। কিন্তু শাস্তি না দিয়ে ধর্ষণকারীকে বিয়ে করতে শামীমাকে বাধ্য করে। শুরু হয় শামীমার দুর্বিষহ জীবন। বৈবাহিক ধর্ষণসহ তাকে সহ্য করতে হয় আরও অনেক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। তার অভিভাবককে জানানোর পর তারা কোনো প্রতিবাদ না করে সেই ধর্ষণকারী স্বামীর সঙ্গেই তাকে থাকতে বাধ্য করে। দিনের পর দিন এসব সহ্য করতে না পেরে শামীমা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল থেকে তাকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য রেফার করা হয় মনঃস্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কাউন্সেলিংয়ের পর সে ধীরে ধীরে মানসিক শক্তি ফিরে পায়।
এবার আসি দ্বিতীয় ঘটনায়। গল্পটি রহমান (ছদ্মনাম) নামের ১২ বছর বয়সী একটি ছেলের। যে তার মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে বাড়ি থেকে দূরে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। প্রথম দিকে পড়াশোনায় আগ্রহ থাকলেও ধীরে ধীরে তার আচরণে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যায়। মায়ের প্রাণবন্ত ছেলেটি যেন হঠাৎ কেমন চুপচাপ হয়ে যায়, অল্পতেই সবকিছুতে বিরক্ত হয়। যে কাজগুলো করতে সে একসময় খুব ভালোবাসত, সেগুলোর প্রতিই তার যেন আর কোনো আগ্রহ নেই। মা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। বাবাকে অনুরোধ করেন তাকে বাড়ি নিয়ে আসার জন্য।
বাড়ি ফিরে এসে রহমান তার মাকে জানায় সে কীভাবে তার চেয়ে বড় এক শিক্ষার্থীর দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, মাদ্রাসার একজন পুরুষ শিক্ষকও তাকে প্রায়ই নির্যাতন করত। বাড়ি আসার পরও এই মানসিক ক্ষতগুলো তাকে দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়াত। সে সব সময় ভীত ও তটস্থ হয়ে থাকে। খাওয়াদাওয়ার প্রতিও কোনো আগ্রহ নেই। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মনঃস্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে তাকে ট্রমাভিত্তিক থেরাপি, আচরণগত সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় মানসিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুধু তাকে নয়, তার মা-বাবাকেও মনঃস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কাউন্সেলিং প্রদান করা হয় যে তার সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে। নিয়মিত যত্নে রহমানের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
দুটি ঘটনা পড়েই আপনার কাছে নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে, এ ঘটনাগুলো তো নতুন কিছু নয়। প্রতিদিনই তো পত্রিকার পাতায়, ফেসবুকের নিউজফিডে এসব ঘটনা ছাপা হচ্ছে। হ্যাঁ, ঠিক তাই। বাংলাদেশের ছেলে ও মেয়েশিশুর যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার খবর নতুন কিছু নয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচের মেয়েদের সঙ্গে আশঙ্কাজনক পরিমাণে যৌন সহিংসতার ঘটনার রিপোর্ট রয়েছে। বিশেষ করে, করোনার বছরগুলোতে (২০১৯-২০২১) শিশু নির্যাতন মারাত্মক আকার ধারণ করে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিন শতাধিক ধর্ষণের রিপোর্ট করা হয়েছে।
২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসেও নিয়মিত শিশু নির্যাতনের সংবাদ জানা যায়। ইউনিসেফের তথ্যমতে, বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই নারী ও শিশু ধর্ষণের ৫০টি ঘটনা ঘটে। শুধু মেয়েশিশু নয়, রহমানের মতো কিশোরের নিপীড়িত হওয়ার ঘটনাও তো আমরা দেখতে পাই। পুরুষ নির্যাতন নিয়ে প্রতিবেদন খুব একটা হয় না। তবে পত্রিকার পাতায় প্রায় প্রতিদিনই এই খবরগুলো চোখে পড়ে।
গত ৩০ এপ্রিল নোয়াখালীর মাদ্রাসায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা বা ১৫ মে প্রথম আলো অনলাইনে লক্ষ্মীপুরের মাদ্রাসার শিশুশিক্ষার্থী নির্যাতনের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে বাংলাদেশে নারী নির্যাতন, শিশু নিপীড়ন এবং হয়রানির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের সার্বিক মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমের কারণে মানুষ এসব বিষয় আগের চেয়ে বেশি জানতে পারছে। সচেতনতাও বাড়ছে। কিন্তু তথ্যগুলোর প্রচার নির্যাতিত মানুষ ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং ট্রমার মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। আরও দুঃখজনক বিষয় হলো ঘটনার সংখ্যার তুলনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অথবা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মানসিক ও আইনগত সহায়তার পরিমাণ খুব কম।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের অধীনে থাকা নন-কমিউনেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কিছু ওয়েলবিয়িং সেন্টার বা মনঃস্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করে, যেখানে আইসিডিডিআরবি তাদের টেকনিক্যাল সহায়তা দিয়ে থাকে। এই ওয়েলবিয়িং সেন্টারগুলোকে স্থাপনের জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে নন-কমিউনেবল ডিজিজ কন্ট্রোল এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা (জিএসি)।
বাংলাদেশের পাবলিক হাসপাতালগুলোর একটি কক্ষে এই ওয়েলবিয়িং সেন্টারগুলো খুব সুসজ্জিত এবং পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে সেখানে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে মানসিক সেবা দেওয়া যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি এখানে প্রশিক্ষিত মনোবিজ্ঞানী এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দ্বারা মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। এমনকি সেন্টারগুলো আইনগত বা মানবাধিকার সহায়তার প্রয়োজন পড়লে সেটিও করার চেষ্টা করে। উপজেলা স্তরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করার পর তাদেরকে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। আবার জেলা স্তরে, তাদের একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জেলা সুপারিনটেনডেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওয়েলবিয়িং সেন্টারগুলো কীভাবে তাদের সাহায্য করছে? সহিংসতার শিকার একজন নারী নিকটস্থ হাসপাতালে যান, যেখানে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক মূল্যায়ন শেষে জানান যে তাঁর বিশেষায়িত মানসিক সহায়তার প্রয়োজন আছে কি না। আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাঁকে ওয়েলবিয়িং সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রাথমিক ব্যবস্থা করা হলেও তাঁর অবস্থার উন্নয়নে আরও বিস্তৃত ব্যবস্থাপনা জরুরি।
জটিলতা বিবেচনা করে মেডিকেল অফিসার তাঁকে হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন। ওসিসি টিম তাঁর সম্মতি সাপেক্ষে তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তার ব্যবস্থায় সরকারের আইন সহায়তা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আইনি রেফারেল সম্পন্ন হওয়ার পর হাসপাতালের ভূমিকা শেষ হয়, তবে তাঁর জন্য মানসিক সহায়তা চলমান থাকে। তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ফলোআপ কাউন্সেলিং সেশন পরিচালিত হয়।। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং মানসিক ও আইনি সহায়তা সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের মানসিক ট্রমা কাটিয়ে উঠতে এবং ন্যায়বিচার পেতে সহায়তা করে।
বর্তমানে দিনাজপুর, নেত্রকোনা, চাঁদপুর, শেরপুর ও নোয়াখালী জেলার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে মোট সাতটি কেন্দ্র থেকে কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত এসব কেন্দ্র সাত হাজারের বেশি রোগীকে মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তা প্রদান করেছে। এই উদ্যোগ সেবাগ্রহণকারীদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। তবে আরও বৃহৎ পরিসরে বিনিয়োগ সম্ভব হলে এই ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব দেখতে পাওয়া যাবে। জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের উদ্যোগ চলাকালে আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকার হওয়া উচিত মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ, যাতে সব নাগরিকের বিশেষ করে সহিংসতা বা ট্রমার শিকার ব্যক্তিদের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করা যায়।
বাংলাদেশে নির্যাতনের ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে আইনি সহায়তাও যোগ করতে হবে, যাতে সহিংসতার শিকার একজন নারী বা ব্যক্তি একসঙ্গে মানসিক সহায়তা ও ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ পান। হাসপাতালগুলোতে ক্রাইসিস সেন্টার সম্প্রসারণের মাধ্যমে গৃহে সহিংসতা, যৌন নির্যাতন এবং শিশু নির্যাতনের শিকার মানুষের জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা, ট্রমা, কাউন্সেলিং এবং আইনি রেফারেল প্রদান সম্ভব।
এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ও আইনগত সহায়তা সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে সহায়তা, একই সঙ্গে তাদের মানসিক সুস্থতাও নিশ্চিত করা যাবে। কমিউনিটিতে বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এসব সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক সংস্কার প্রতিরোধ এবং প্রশিক্ষিত পেশাজীবীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে একটি বিস্তৃত সহায়তা কাঠামো তৈরি করা যায়। এর ফলে সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাবে এবং নির্ভয়ে ন্যায়বিচার চাইতে পারবে।
মূল কথা হলো আমাদের নীরবতার সংস্কৃতি ভাঙতে হবে। আমাদের অগ্রাধিকার হতে হবে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে নিরাময় নিশ্চিত করা যেন শামীমা ও রহমানের মতো নির্যাতনের শিকার মানুষ উন্নত মানসিক স্বাস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায়।
আনীকা তাসনিম হোসেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট, আইসিডিডিআরবি
ইসরাত জাবীন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার, আইসিডিডিআরবি
জেসমিন মাহমুদা জুথী সাইকোলজিস্ট, ওয়েলবিয়িং সেন্টার, আইসিডিডিআরবি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইস ড ড আরব ন শ চ ত কর স ন ট রগ ল ক উন স ল ব যবস থ দ ন কর পর য য র জন য ন র মত সহ য ত উপজ ল র ঘটন প রথম রহম ন ও আইন
এছাড়াও পড়ুন:
দাসত্বের সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিম যে দাসত্বের সংস্কৃতি চালু করেছিল আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দলীয় লেজুরবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবীণ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি। গত ১৭ বছর আমরা আমাদের নাগরিকত্ব সপে দিয়েছিলাম একটি ফ্যাসিবাদ সরকারের কাছে। যারা পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে দাসত্বের চুক্তি করেছিল। আমরা কখনো ভাবিনি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে।”
আরো পড়ুন:
কৃষি উপদেষ্টা-চীনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে জিবুতির সমর্থন চাইল বাংলাদেশ
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “খুন, আয়নাঘর, বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে চলছিল এই বাংলাদেশ। এর থেকে পরিত্রাণ তোমরাই দিয়েছো। ছাত্র-জনতার এই অর্জনকে ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।”
“নতুন বাংলাদেশে তোমরা নিজেদেরকে আপন স্বকীয়তায় উপস্থাপন করবে, রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা তোমরা নির্ধারন করবে। তোমাদের ধৈর্যশীল ও রুচিশীলতার পাশাপাশি উন্নত মনের বিবেকবান ও সুন্দর মনের মানুষের পরিচয় দিতে হবে”, যোগ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, “পেশিশক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে। সহনশীলতা ও সহমর্মিতার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সহশিক্ষার কার্যক্রমে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পরাদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে হবে।”
ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করে মেলে ধরবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল নলেজ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব আঙ্গিকে লাইব্রেরিকে উপযুক্ত করতে হবে, যা গবেষণার কাজকে আরো ত্বরান্বিত করবে।”
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অ.দা) প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা।
ঢাকা/নূর/মাসুদ