নির্বাচনের সুস্পষ্ট রূপরেখা দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ এবি পার্টির
Published: 6th, June 2025 GMT
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। শুক্রবার দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এক যুক্ত বিবৃতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড.
তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছেন তা আমাদের পূর্ববর্তী প্রস্তাব ও এ সংক্রান্ত পর্যালোচনার সঙ্গে না মিললেও আমরা তার ওপর আস্থা রাখতে চাই। আবহাওয়াজনিত কারণে এপ্রিল মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। তবে প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু সামগ্রিক প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং প্রাসঙ্গিকভাবে সময়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন তাতে আমরা সরকারের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রাখতে চাই।
আমরা আশাকরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপযোগী করা ও নির্বাচন কমিশনকে জনগণের আস্থা অর্জনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন, বলেন তারা
তারা বলেন, সংস্কার ও বিচারের একটা সন্তোষজনক অগ্রগতি এবং নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য এপ্রিল পর্যন্ত সময়টা আপাত দৃষ্টিতে বিলম্বিত মনে হলেও সকল পক্ষের এ ব্যপারে ঐকমত্য প্রয়োজন। আশা করি সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ ত্যাগের মনোভাব দেখিয়ে এ ব্যাপারে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে সচেষ্ট হবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
কিছু রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে ফাঁদে পড়েছে: জাপা মহাসচিব
কিছু রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে ফাঁদে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তবে কারা, সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে রংপুর নগরের সেন্ট্রাল রোডে জাপা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শামীম হায়দার পাটোয়ারী এ মন্তব্য করেন।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দল ইতিমধ্যে ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে বা স্বাক্ষর করে একধরনের ফাঁদে পড়ে গেছে। কিছু রাজনৈতিক দল বলছে, ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে। এখানে প্রতারক ও প্রতারণা শব্দটি উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু আমরা তো এ রকম সংস্কার চাইনি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ঐকমত্য তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে জাপা মহাসচিব বলেন, কমিশন ৫৬টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি দলকে বাদ দিয়েছে। যে দলগুলো সেখানে গেছে, তাদের মধ্যে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে মতবিরোধ আছে। এক ভাগকে ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, আরেক ভাগ ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ করেছে। অন্য আরেক ভাগ ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে পরে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করেছে।
বর্তমান প্রশাসনিক কাঠামো বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির বলে দাবি করেছেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। কারণ, নির্বাচিত সরকার সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট করেছে ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। এই মুহূর্তে দেশে যে প্রশাসনিক কাঠামো আছে, তার ব্যাপারে তথ্য উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, তাঁরা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কথামতো প্রশাসন সাজিয়েছে, তার সঙ্গে এনসিপি আছে। এই তিন দলের বাইরে অন্য কোনো দল যদি ভোটে আসে, এই প্রশাসনিক কাঠামো সেই দলকে সুষ্ঠু ভোট হতে দেবে না।
গণভোটের দাবি নজিরবিহীন উল্লেখ করে শামামী হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সংবিধানে এই মুহূর্তে গণভোট কোনো প্রভিশনে নেই। বর্তমানে গণভোটের যে দাবি উঠেছে, সংসদে পাস হওয়ার আগে এই দাবি বাস্তবায়ন হলে ঐকমত্য কমিশনকে সংসদের মর্যাদা দেওয়া হবে। ঐকমত্য কমিশন সার্বভৌম নয়, নির্বাচিত নয় ও সংসদ নয়। সংসদকে এড়িয়ে গিয়ে কোনো আইন পাস করা হলে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।
এ সময় জাপার কো–চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, রংপুর জেলার আহ্বায়ক আজমল হোসেন, সদস্যসচিব হাজী আবদুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামানসহ জাপা ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।