কয়েক সপ্তাহ আগেও পাকিস্তান ও ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। ভারতের অতিডানপন্থী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে, এমনকি পাঞ্জাব প্রদেশের ভাওয়ালপুরেও বিমান হামলা চালিয়েছিল।

ভারত এ আক্রমণের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, কাশ্মীরের পেহেলগামে ভারতীয় পর্যটকদের হত্যার জবাবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। ভারত এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বানও তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের এ আক্রমণে পাকিস্তানে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হন, যার মধ্যে একটি শিশুও ছিল।

পরের দিনই পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায়। এরপরের কয়েক দিনে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাগুলি করে এবং একে অপরের আকাশসীমায় ড্রোন হামলা করে। এতে উভয় পক্ষেই বেসামরিক মানুষ নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই কাশ্মীর অঞ্চলের বাসিন্দা। ১০ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। শুরুতে দুই পক্ষের দিক থেকেই পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি কার্যকর রয়েছে।

পাকিস্তানের বিমানবাহিনী দাবি করে, তারা ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে ফ্রান্সে নির্মিত একটি রাফাল যুদ্ধবিমানও ছিল। এটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর অন্যতম মূল্যবান সম্পদ। ফ্রান্সের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা পাকিস্তানের এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তুলনামূলকভাবে ছোট একটি বিমানবাহিনীর হাতে আধুনিক পশ্চিমা যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার প্রতীকী তাৎপর্য অনেক। বিষয়টি সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের নজর এড়ায়নি।

আরও পড়ুনপাকিস্তানে হামলা করে ভারতের সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটা হলো২৯ মে ২০২৫

খুব স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানিদের মনোভাব ছিল বিজয়ের আমেজে ভরা। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বারবার বিমানবাহিনীর বিজয়ের ফুটেজ প্রচার করে, উপস্থাপকেরা সেনাবাহিনীর ‘সাহসিকতা ও দৃঢ়তা’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীকে প্রশংসা করে হ্যাশট্যাগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সরকার টুইটারের (বর্তমানে এক্স) ওপর থেকে কয়েক মাস ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ায় টুইটারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার।

ভারতের সঙ্গে শত্রুতা দিয়ে সংজ্ঞায়িত হওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস আছে, এমন একটা দেশের সামনে হঠাৎ করে আসা উত্তেজনা জাতীয় ঐক্যের বিরল সুযোগ এনে দেয়। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিও নাটকীয়ভাবে পুনরুদ্ধার হয়। এমনকি পাকিস্তানের বামপন্থীদের একটি অংশের মধ্যে দেশপ্রেমমূলক জাতীয়তাবাদের জাগরণ দেখা যায়।

ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর ব্যাপকভাবে দমন–পীড়ন, অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং ক্রমশও স্পষ্ট হতে থাকা কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছিল। গত কয়েক সপ্তাহে সেই প্রতিষ্ঠানের সামনে জনসংযোগের অলৌকিক এক সুযোগ এসে গেল।

কিন্তু এই ভাবমূর্তি কেবল বাইরের ছবি। এটা যে বাস্তবতাকে আড়াল করছে, সেটা হলো, পাকিস্তানের সামরিক অভিজাতেরা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরালো করল। এখন তারা আরও সহিংসভাবে জাতিগত ও রাজনৈতিক ভিন্নমতকে দমন করবে। তাদের অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যকে আরও বিস্তৃত করবে। দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দায়মুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এখন দেশজুড়ে জেগে ওঠা জাতীয়তাবাদী জ্বরকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ভেঙে পড়া ভাবমূর্তি পুনর্গঠন করছে। বেসামরিক শাসনব্যবস্থায় নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করছে।

ডিফেন্স হাউজিং অথরিটি এখন পাকিস্তানের প্রায় প্রতিটি বড় শহরের অভিজাত এলাকার জমির মালিক। ফৌজি ফাউন্ডেশন সার থেকে শুরু করে খাদ্যশস্য—সব ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই প্রতিষ্ঠানগুলো করের আওতামুক্ত। তাঁদের হিসাব-নিকাশে কোনো নিরীক্ষা (অডিট) হয় না। বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের কোনো তদারকিও নেই। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলরা এসব প্রতিষ্ঠানের বোর্ডে বসেন। আশপাশের এলাকায় তাদের জমিদারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।ক্রিকেট যখন জাতীয়তাবাদের আফিম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর ১৭ মে আবার চালু হয় পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল)। এটা পাকিস্তানের প্রধান ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও জাতীয় সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ। কিন্তু সেখানে ক্রিকেট আর কেন্দ্রীয় বিষয় থাকেনি। ইনিংস বিরতির ফাঁকে দর্শকদের ৩০ মিনিটের একটা অদ্ভুতুড়ে কনসার্টের মধ্যে বেঁধে ফেলা হলো। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি জমকালো এক শ্রদ্ধা প্রদর্শন।

স্পিকারে উচ্চ স্বরে সামরিক সংগীত বাজছিল। রাওয়ালপিণ্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আকাশে আতশবাজির আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল। স্টেডিয়াম থেকে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর মাত্র পাথর ছোড়া দূরত্বে। সবুজ পোশাকে আবৃত পারফরমাররা বিশাল আকারের জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছিলেন।

যেকোনো বিবেচনায় এটা ছিল অস্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এটা ছিল কার্যকর পদক্ষেপ। শ্রমিকশ্রেণির ক্রিকেটপ্রেমীদের তাঁদের বাস্তব জীবনের সংগ্রাম ও বস্তুগত স্বার্থের বিপরীতে জাতীয়তাবাদের মধ্যে বুঁদ করে ফেলা যায়।

আরও পড়ুনশক্তি দেখাতে গিয়ে ভারতের দুর্বলতা বেরিয়ে এল কি?১৩ মে ২০২৫

পরের রাতে আরেকটি শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব খেলার মাঝপথে বিঘ্ন তৈরি করে। ফলে সেদিন খেলা শেষ হতে মাঝরাত পেরিয়ে যায়। এই প্রতীকায়ন নির্ভুল। ক্রিকেট প্রায়ই পাকিস্তানের জাতীয় ঐক্যের বড় এক প্রতীক। সেই ক্রিকেটকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রোপাগান্ডা যন্ত্র বানানো হয়। এই সবকিছু এমন এক সময় ঘটে চলেছে, যখন পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটারদের একজন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিঃসঙ্গ কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর বিরোধের শাস্তি হিসেবেই কারাগারে তাঁকে থাকতে হচ্ছে।

এ ঘটনা আমাদের ৯/১১-এর পরে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) কথা মনে করিয়ে দেয়। স্টেডিয়ামের আকাশজুড়ে যখন যুদ্ধবিমান উড়ে যেত, তখন খেলোয়াড়েরা সেনাদের উদ্দেশে স্যালুট জানাতেন। পিএসএলের এই কনসার্টগুলোও স্বতঃস্ফূর্ত দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ নয়। এগুলো ছিল সুচিন্তিত ও পরিকল্পিত এক প্রদর্শনী, যার উদ্দেশ্য হলো খেলাকে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে একাকার করে তোলা।

এখানে বার্তাটি স্পষ্ট। সেনাবাহিনীই তোমাদের ত্রাণকর্তা। পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় প্রবাদ হলো, ‘তুমি রাতে ঘুমোতে পারো। কারণ হলো একজন সৈনিক তখন জেগে থাকে।’ সেনাবাহিনী ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তারাই তোমাদের খেলার মাঠ রক্ষা করেছে। সুতরাং গুম হওয়া মানুষদের নিয়ে, রাজনৈতিক বন্দীদের নিয়ে, চুরি হয়ে যাওয়া নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা বন্ধ করো।

দায়মুক্তির ইতিহাস

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সশস্ত্র বাহিনীর কর্তৃত্ব আকস্মিক কিংবা সাম্প্রতিক কোনো ঘটনা নয়। কয়েক দশক ধরে চলে আসা অভ্যুত্থান, জবরদস্তি ও সাংবিধানিক কারসাজির মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের এই আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। বেসামরিক শাসনব্যবস্থায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা বুঝতে হলে একজনকে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার সময়টিতে ফিরে যেতে হবে।

স্বাধীনতার সময়ে পাকিস্তান অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর বড় একটা অংশ নিজেদের ভাগে পেয়েছিল। জনসংখ্যা মাত্র ১৭ শতাংশ হলেও সামরিক বাহিনীর সম্পদের ৩৬ শতাংশ ভাগে পায় নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তান। পাকিস্তানে বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল খুবই দুর্বল। আবার দেশ বিভাগের খুব তাড়াতাড়ি কাম্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধও হয়। নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে খুব দ্রুত সেনাবাহিনী সবচেয়ে সংগঠিত ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হলো।

বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হওয়ায় এবং কাশ্মীর ইস্যুতে দ্রুত সংঘাত শুরু হওয়ায় নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে সবচেয়ে সংগঠিত ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সেনাবাহিনী। শুরুর এই প্রভাববিস্তারী ভূমিকা রাজনীতি, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব তৈরির ভিত্তি গড়ে দেয়। ধীরে ধীরে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠে সেনাবাহিনী।

বর্তমানে ইমরান খান কারাবন্দী। তাঁর মুক্তির ব্যাপারটি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভবিষ্যতের কোনো সমঝোতার ওপরই নির্ভর করছে।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত সবচ য় সরক র র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: আবদুল আউয়াল মিন্টু

এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার ফেনীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

আজ দুপুরে ফেনী শহরের একটি মিলনায়তনে ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন মিন্টু। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে চাই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। দেশে এখন যে অবস্থা ফেব্রুয়ারি আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা ডেট পেন্ডিং আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হলে তার অধীনে ৯০ দিনে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’

আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দেশে যদি এক যুগ, দুই যুগ ধরে নির্বাচিত সরকার না থাকে, তবে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জানমালের উন্নয়ন হবে না। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। ১৯ বছর ধরে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডনে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই। আমরা চাচ্ছি, দ্রুত নির্বাচনটি হোক।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।’

পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনীর মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ওরফে ভিপি জয়নাল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ রেহানা আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ