চট্টগ্রামে চামড়া কেউ পুঁতে ফেললেন, কেউ রাস্তায় ফেলে চলে গেছেন
Published: 8th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার অলিগলি ঘুরে ৫২০টি চামড়া কিনেছিলেন মৌসুমি বিক্রেতা নুরুল আবসার। একেকটি চামড়া গড়ে ২০০ টাকার বেশি দরে কেনা পড়ে। তাঁর মোট খরচ হয় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু একটা চামড়াও তিনি বিক্রি করতে পারেননি। আজ রোববার নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় সড়কে চামড়া ফেলে দিয়ে তিনি বাড়ি চলে যান।
সকাল নয়টায় আতুরার ডিপো এলাকায় গিয়ে নুরুল আবসারের সঙ্গে কথা হয়। তখনো তিনি আড়তদারের প্রতিনিধিদের অনুরোধ করছিলেন চামড়া নিতে। কেউ নেননি। নুরুল আবসার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার রাত ১১টায় তিনি চামড়া নিয়ে নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় পৌঁছান। সেই থেকে চামড়া বিক্রি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ৫০ টাকাও কেউ দিতে চাইছেন না। তাঁর কাছে ছোট, মাঝারি, বড়—তিন আকারের চামড়াই আছে।
নুরুল আবসার ছোট দুটি পিকআপে করে এই চামড়া আনেন। সঙ্গে আরও দু–তিনজন এসেছিলেন। তিনি জানান, চা খাওয়ার টাকাটাও তুলতে পারছেন না। এভাবে লোকসান হবে, তিনি ভাবেননি।
পরে বেলা সাড়ে ১১টায় আবার যোগাযোগ করলে নুরুল আবসার জানান, চামড়া বিক্রি হয়নি। সড়কে ওপর ফেলে রেখে তিনি চলে যাচ্ছেন বাড়িতে। তাঁর পুরো টাকাই লোকসান হলো।
শুধু নুরুল আবসার নন, নগরের আতুরার ডিপো, চৌমুহনী, দেওয়ানহাট, পতেঙ্গার অনেক মৌসুমি বিক্রেতা কেনা দামেও চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। কেউ চামড়া পুঁতে ফেলেছেন। কেউ রাস্তায় ফেলে চলে গেছেন। অবশ্য কেউ কেউ লোকসানে বিক্রি করেছেন।
ঈদের দিন চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমি বিক্রেতারা চামড়া নিয়ে বসেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রিবাট্টা হয় চৌমুহনী এলাকায়। অলিগলি থেকে চামড়া কিনে এখানেই এনে জড়ো করেন মৌসুমি বিক্রেতারা। পরে আড়তদার কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা এসে এ চামড়া নিয়ে যান। চামড়া মূলত নিয়ে যাওয়া হয় নগরের আতুরার ডিপো এলাকায়। সেখানে রয়েছে বড় আড়ত। উপজেলা থেকেও চামড়া আসে এসব আড়তে।
আরেক মৌসুমি ব্যবসায়ী দিদার আলম হাটহাজারী উপজেলা থেকে ৬০০ চামড়া নিয়ে এসেছেন। তিনিও বিক্রি করতে না পেরে চামড়া সড়কের ওপর ফেলে বাড়ি যাওয়ার মনস্থির করেন। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম নগরের আতুরার ডিপোর পাশে আমিন জুট মিল এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল ১১ কেজির কাতল
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে ১১ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার চালা ইউনিয়নের দিয়াপাড় এলাকার মৎস্য শিকারী রাজ্জাকের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
মাছ ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা জানান, আজ সোমবার ভোরে আন্ধারমানিক আড়তের সুবাশ রাজবংশীর আড়তে মাছটি তোলেন রাজ্জাক। নিলামে মাছটি ১২ হাজার ৬০০ টাকায় কিনে নেন ব্যবসায়ী ইয়েমেল। তিনি মাছটি বলড়া বাজারে নিয়ে যান। সেখানে বলড়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের হাসান আলী ১৪ হাজার ৬০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
আরো পড়ুন:
জেলের জালে ২ কেজির ইলিশ, ৬ হাজার টাকায় বিক্রি
আরাকান আর্মির ধাওয়ায় নাফ নদীতে ট্রলার ডুবি
আড়তদার হৃদয় রাজবংশী বলেন, “পদ্মা নদী থেকে সোমবার ভোরে কাতল মাছটি ধরেন রাজ্জাক। আজ সকালে আড়তে নিয়ে আসলে বলড়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ইয়েমেল মাছটি কিনে নেন।”
ইয়েমেল বলেন, “আজ সাড়ে ১১ কেজির কাতল মাছটি ১২ হাজার ৬০০ টাকায় কিনে সুলতানপুরের হাসান কাকার কাছে ১৪ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি।”
হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল ইকরাম বলেন, “মানিকগঞ্জের পদ্মা নদীতে মাঝে মাঝে বড় বড় পাঙাশ, আইড়, কাতল, চিতল ও বোয়াল মাছ ধরা পড়ে। আজ বড় একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে।”
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ