রাত জেগে থাকা দেড় শ বছরের একটি চামড়ার হাট
Published: 8th, June 2025 GMT
রাত বাড়ছে, বাড়ছে অনেক ধরনের মানুষের আনাগোনা। বাড়তে থাকে হাটের কর্মচঞ্চলতা। কারও দিকে কারও তাকানোর সময় নেই। অনেক রকম কাজ, যে যা পারছে—তাই করছেন। দেড় শতাধিক বছরের পুরোনো বালিকান্দি চামড়াবাজার বছরের একটা রাতে এ রকমই প্রাণচঞ্চল ও উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নে মনু নদের পাড়ে বাজারটি গড়ে উঠেছিল, সেই থেকে এখনো ঐতিহ্য ধারণ করে চলছে। বাজারটিতে এই একটা রাত দিনের মতো। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ করে যত রকম ব্যস্ততা যখন অন্য সবখানে স্থিমিত হয়ে আসতে থাকে, বালিকান্দি চামড়ার বাজারের রাতটি তখন আস্তে আস্তে প্রাণ পেয়ে জেগে ওঠে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে বালিকান্দি চামড়ার বাজারে যাওয়ার পথে চামড়া হাটের ধারণাটা পাওয়া গেছে। সড়কে যানজট তৈরি হয়ে গেছে ততক্ষণে। দুদিক থেকেই অনেক ধরনের গাড়ি আসা-যাওয়া করছে। ছোট রাস্তা, সংগত কারণেই এত ভিড় নিতে পারছে না। পিকআপ ভ্যান, ছোট ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটমে চামড়া বোঝাই করে লোকজন বাজারে আসতে থাকেন। কিছু গাড়ি আছে যেগুলো আগে থেকেই কারও ঠিকঠাক করা। গাড়ি নির্দিষ্ট স্থানে থামছে, লোকজন গাড়ি থেকে চামড়া নামিয়ে জায়গামতো রাখছেন। কিছু গাড়ি আসার পর দরদাম ঠিক করা হচ্ছে। বালিকান্দি বাজারে ঢোকার বেশ আগে থেকেই এই তৎপরতা দেখা গেছে।
এবার ১০০ চামড়া কিনেছি ৫৫০ টাকা দরে এবং ১০০ চামড়া কিনেছি ৪৫০ টাকা করে।মো.সাদিকুর রহমান, চামড়া ব্যবসায়ী
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানালেন, কোরবানির ঈদের দিন বেলা একটা-দুটা থেকে বাজারে লোক আসা শুরু হয়। তবে ভিড় শুরু হয়ে সন্ধ্যার পর থেকে। রাত আটটার দিকে জমে উঠতে থাকে বাজার। রাত বাড়লে লোকজনের এই কথার মিল পাওয়া গেছে। বাজারের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই কর্মচঞ্চলতা। যাঁরা চামড়া পরিষ্কার করেন, তাঁরা চামড়াপ্রতি পান ২০ টাকা। যাঁরা চামড়ায় লবণ মাখেন, তাঁরা পান ১০ টাকা। গোছানোর আলাদা মানুষ আছেন।
মো. সাদিকুর রহমান প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তিনি ১৪ বছর ধরে চামড়ার ব্যবসা করেন। এবার ১০০ চামড়া কিনেছেন ৫৫০ টাকা দরে এবং ১০০ চামড়া কিনেছেন ৪৫০ টাকা করে। আরও চামড়া কিনবেন। সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন স্থানের আড়তদার ও ট্যানারির মালিকের কাছে বিক্রি করবেন। তাঁর কিছুটা ক্ষোভ আছে, আড়তদার ও ট্যানারির মালিকেরা বকেয়া টাকা সময়মতো দেন না। নানা অজুহাতে দিনের পর দিন টাকা ফেলে রাখেন। একটি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ১০ থেকে ১৫ কেজি লবণ লাগে।
ব্রিটিশ আমলে বালিকান্দি বাজার প্রতিষ্ঠা হয়। শুরু থেকেই এই হাটে চামড়ার ব্যবসা চলছে। সারা বছরই ফড়িয়া ও ছোট ব্যবসায়ীরা এখানে চামড়া নিয়ে আসেন।আরেক চামড়া ব্যবসায়ী আবদুল আহাদ বলেন, ‘এবার কোরবানি কম। এবার অনেকে দেশে নেই, বাড়িতে নেই। কোরবানি ঈদের দিন রাত আটটার দিকে বাজারে ভিড় বাড়তে থাকে। রাত ১২ট পর্যন্ত নানা জায়গা থেকে চামড়া আসতে থাকে। সারা রাত দোকান খোলা থাকে। পরদিন বেলা একটা-দুইটা পর্যন্ত কাজ চলে। এই একটা রাতে বাজারে কেউ ঘুমান না। আমাদের দাদার আমল থেকে বালিকান্দি বাজারে চামড়ার ব্যবসা দেখে আসছি।’
ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে বালিকান্দি বাজার প্রতিষ্ঠা হয়। শুরু থেকেই এই হাটে চামড়ার ব্যবসা চলছে। সারা বছরই ফড়িয়া ও ছোট ব্যবসায়ীরা এখানে চামড়া নিয়ে আসেন। প্রতিদিন বাজারে ২০ থেকে ২৫টি চামড়া আসে। তবে কোরবানির ঈদেই বসে চামড়ার বড় বাজার। বাজারে পাঁচ থেকে ছয়জন স্থায়ী ব্যবসায়ী আছেন, যাঁদের গুদাম আছে। যাঁরা সারা বছরই চামড়া কেনাবেচা করেন। এ ছাড়া ঈদের সময় প্রায় অর্ধশত মৌসুমি ব্যবসায়ী সক্রিয় হয়ে থাকেন। তবে ২০১৪ সালের পর থেকে বাজারটিতে এ রকম টানাপোড়ন চলছে। বাজারটি অনেকটা পুরোনো জৌলুশ হারিয়েছে। পুঁজি হারিয়ে অনেকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন।
বালিকান্দি চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. শওকত বলেন, ‘এবার ছোট গরু বেশি কোরবানি হয়েছে। চামড়ার সাইজ ছোট। হাজারে ১০-২০টি বড় চামড়া মিলছে।’ তিনি জানিয়েছেন, একটি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে শ্রমিক, লবণসহ খরচ হয় ১৭৫ টাকা। ২০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে চামড়া কিনছেন অনেকে।
অন্যদিকে মৌলভীবাজার শহরতলির চাঁদনীঘাটে মনু সেতুর কাছে বসেছে একবেলার মাংসের হাট। মনু সেতু ও সড়কের ফুটপাতে অনেকে মাংসের পুঁটলা ও ব্যাগ নিয়ে বসেছিলেন। তাতেও মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কের চাঁদনীঘাট থেকে শহরের টিসি মার্কেট এলাকা পর্যন্ত তৈরি হয় দীর্ঘ যানজটের। অনেকক্ষণ ধরে এই যানজট চলে। দরিদ্র নারী-পুরুষ বিভিন্ন গ্রাম ও বাসাবাড়ি ঘুরে মাংস সংগ্রহ করেছেন। কেউ কোরবানির গরু কাটাকুটি করে মাংস পেয়েছেন। নিজেদের জন্য চাহিদামতো রেখে বাকিটুকু বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন ওই হাটে।
এবার ছোট গরু বেশি কোরবানি হয়েছে। হাজারে ১০-২০টি বড় চামড়া মিলছে। একটি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে শ্রমিক, লবণসহ খরচ হয় ১৭৫ টাকা। মো. শওকত, সভাপতি, বালিকান্দি চামড়া ব্যবসায়ী সমিতিএই বিক্রেতারা মাংসের আনুমানিক ওজন অনুযায়ী দাম চাইছেন। ক্রেতারাও মোটামুটি আন্দাজ করে দাম বলছেন, দরদাম ঠিক হলে টাকা দিয়ে হাতে ব্যাগ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছেন। যাঁরা কোরবানি দিতে পারেননি, আবার কারও কাছ থেকে মাংস পাওয়ার বা সামাজিক কারণে চাওয়ার সুযোগ নেই; এই একবেলা মাংসের হাটের ক্রেতা হচ্ছেন তাঁরাই।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিএস নন-ক্যাডার পদের নিয়োগে কেন সংকট তৈরি হলো
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির ক্যাডার এবং কারিগরি বা পেশাগত পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে থাকে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে বড় নিয়োগ পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছে এই পরীক্ষার চাহিদা ও আকর্ষণ গত দুই-আড়াই দশকে অনেকটা বেড়েছে। বিসিএস দিয়ে নিয়োগ পাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ আগেও ছিল; কিন্তু এখন রীতিমতো একাডেমিক পড়াশোনা বাদ দিয়ে বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়!
বর্তমান প্রক্রিয়ায় আবেদনকারী প্রার্থীকে প্রথমে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এখান থেকে বিজ্ঞাপিত শূন্য পদের কয়েক গুণ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষায় ন্যূনতম শতকরা ৫০ ভাগ নম্বরপ্রাপ্তদের ডাকা হয় মৌখিক পরীক্ষার জন্য। তিন ধাপের পরীক্ষা পার হওয়ার পর নির্ধারিত ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি; কিন্তু এর বিপরীতে মৌখিক পরীক্ষা পর্যন্ত পার হয়েও অসংখ্য প্রার্থী চাকরি পান না। তাঁদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে ২০১০ সালে নন-ক্যাডার বিশেষ বিধিমালা করা হয়।
এই বিধির ফলে এক বিসিএস দিয়েই প্রার্থীরা নবম গ্রেডের ক্যাডার এবং ৯ থেকে ১২তম গ্রেডের নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পেতে থাকেন। সিদ্ধান্তটি চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে খুবই ইতিবাচক ছিল। কারণ, এতে তাঁদের আবেদনের খরচ এবং বারবার পরীক্ষা দেওয়ার ঝামেলা কমে যায়; কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর থেকে বেশিসংখ্যক চাহিদা না দেওয়ার কারণে ২৮তম থেকে ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রায় ১৯ হাজার প্রার্থী কোনো চাকরি পাননি। বিসিএস পরীক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া পার হয়েও পদের অভাবে চাকরি না পাওয়াটা প্রার্থীদের জন্য ছিল হতাশার। সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির পদেও বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রতিবছরই হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে। বিসিএস পরীক্ষা নিয়মিত হলে এবং ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা গেলে প্রার্থীদের অকারণ অপেক্ষা করতে হয় না৩৪তম বিসিএস থেকে প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য হারে নন-ক্যাডার পদ পেতে থাকেন। ৩৪তম থেকে ৪১তম বিসিএস পর্যন্ত দুই হাজারের কাছাকাছি থেকে চার হাজারের বেশি প্রার্থী নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পান। যেমন ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডার থেকে ৩ হাজার ১৬৪ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এর আগের ৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী ছিলেন ৪ হাজার ৩২২ জন। কিন্তু ৪৩তম বিসিএসে এই সংখ্যা নেমে হয় ৬৪২। মূলত এখান থেকেই সংকটের শুরু।
৪৩তম বিসিএসের আগের পরীক্ষাগুলোতে প্রথমে ক্যাডার পদের ফল প্রকাশ করা হতো। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী নন-ক্যাডারের ফল দেওয়া হতো। এর দরুন বেশি সংখ্যক প্রার্থী চাকরির সুযোগ পেতেন। কিন্তু ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধিতে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের চূড়ান্ত ফল একসঙ্গে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে নন-ক্যাডার শূন্য পদ উল্লেখের নিয়মও যুক্ত হয়েছে। এর বিরোধিতা করে একদল প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, এভাবে পদ উল্লেখের কারণে নির্ধারিত পদের বাইরে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ আগের নিয়মে তালিকায় থাকা বিসিএস উত্তীর্ণ প্রার্থীরা পরবর্তী বিসিএসের আগপর্যন্ত চাহিদামতো নিয়োগের সুযোগ পেতেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী, ২০২৩-এর নন-ক্যাডার বিধি বাতিল করে আগের বিধি পুনর্বহাল করা যেতে পারে। তা ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার শূন্য পদ উল্লেখ না করে পদ তৈরির সুযোগ উন্মুক্ত রাখাই ভালো। স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে ক্যাডারের ফলের সঙ্গে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কিন্তু পদস্বল্পতার কারণে ক্যাডার হিসেবে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের মেধাভিত্তিক তালিকা আলাদা করে প্রকাশ করা যায়। তাহলে এখান থেকেই নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে।
একেকটি বিসিএসে লাখ লাখ আবেদনকারীর মধ্য থেকে খুব সীমিতসংখ্যকই চূড়ান্ত নিয়োগের সুপারিশ পান। সর্বশেষ চূড়ান্ত ফল ঘোষিত ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন। এর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয় ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থীকে। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন ৯ হাজার ৮৪১ জন। শেষ পর্যন্ত চাকরির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন মাত্র ২ হাজার ৮০৫ জন। এভাবে প্রতিটি বিসিএসেই দেখা যায়, আবেদনকারী মোট প্রার্থীর বিপরীতে মাত্র শূন্য দশমিক ৪৫ থেকে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রার্থী চাকরির সুযোগ পান।
পিএসসি ১২তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগ দিয়ে থাকে। ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের নিয়োগ দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। পিএসসির সাবেক কোনো কোনো সদস্য মনে করেন, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সরাসরি নিয়োগ কমিয়ে নন-ক্যাডার নিয়োগ বাড়ানো যেতে পারে। এর ফলে বিসিএস উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একটি অংশ ক্যাডার হতে না পারলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে চাকরির সুযোগ পাবেন। বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগের ফলে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্য কমে আসবে। এই প্রক্রিয়ায় যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীরা বেশি হারে সুযোগ পাবেন এবং তাঁদের সময়, অর্থ ও পরিশ্রম কমবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান বলছে, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনে ৪ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য আছে। তবে একসঙ্গে এত পদ পূরণ করা সম্ভব নয়, এমনকি তা উচিতও হবে না। কারণ, প্রতিবছরই হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট চাকরির বাজারে প্রবেশ করছেন। বিসিএস পরীক্ষা নিয়মিত হলে এবং ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা গেলে প্রার্থীদের অকারণ অপেক্ষা করতে হয় না।
তারিক মনজুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক