পশু কোরবানি ও মাংস কাটাকাটির সময় বিভিন্নভাবে আহত হয়ে ঈদের দিন ও পরদিন রাজধানীর দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৪৪ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজন বেশ জখম হওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন শনিবার সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৬৫ জন। আজ রোববার বেলা দুইটা পর্যন্ত আরও ৭০ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নেন। দুই দিনে পাঁচজনকে এ হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) মোস্তাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অধিকাংশই হাত-পা কেটে বা ছুরি ফসকে গিয়ে আহত হয়েছেন। পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।’

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ঈদের দিন ১০৯ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই পশু কোরবানির সময় ধারালো ছুরি বা দা ব্যবহারে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

এ ছাড়া ঈদের আগের দুই দিনে কোরবানির পশু হাট থেকে আনা-নেওয়ার সময় আহত আরও ৩০ জন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গত শুক্রবার ২১ জন আর বৃহস্পতিবার নয়জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী গ্রেপ্তার 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) সহকারী প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ নগরীর কোটবাড়ি রোডের চাঙ্গেনী মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
 
তিনি ওই এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে এবং কুসিকের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই।  সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জল হোসনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গত বছরের ৫ আগস্টের পর সদর দক্ষিণ ও কোতয়ালি মডেল থানায় দুটি মামলা হয়। এসব মামলায় তিনি এজাহার নামীয় আসামি। দুটি মামলায় আসামি হলেও তিনি কর্মস্থলে নিয়মিত অফিস করতেন। এছাড়া নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সদর দক্ষিণ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসির ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি (তোফাজ্জল) ২০২০ সালের ১০ জুলাই চাঙ্গেনী এলাকার ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তবে ওই মামলায় জামিনে আছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ