দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
Published: 9th, June 2025 GMT
লাচ্ছির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যা চালিয়েছেন বাকপ্রতিবন্ধী এক বাবা। আজ সোমবার ভোরে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষক্রিয়ায় মেয়ে মনিরা (৮) ও সানজু আল ফাতেহা (৫) মারা গেলেও বেঁচে গেছেন বাবা মনু মিয়া। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময় শিশুদের মা হাসিনা বেগম রান্নাঘরে ছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, পরিবারের অসচ্ছলতা ও অভাব অনটনের কারণেই বাবা দুই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মনু মিয়া।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামের মোকবুল হোসেনের ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী মনু মিয়া। তার দুই মেয়েও বাক প্রতিবন্ধী। একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তি প্রতিবন্ধী হওয়া এবং মনু মিয়া দীর্ঘদিন কাজকর্ম করতে না পেরে অভাব-অনটনে দিনানিপাত করছিলেন। শারীরিক অবস্থা ও দারিদ্রতা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো.
তিতাস থানার ওসি মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধী বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বাক প্রতিবন্ধী, দারিদ্র্যতা ও পারিবারিক হতাশা থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। নিহত দুই মেয়ের লাশ থানায় এনেছি, তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
লাচ্ছির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যা চালিয়েছেন বাকপ্রতিবন্ধী এক বাবা। আজ সোমবার ভোরে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষক্রিয়ায় মেয়ে মনিরা (৮) ও সানজু আল ফাতেহা (৫) মারা গেলেও বেঁচে গেছেন বাবা মনু মিয়া। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময় শিশুদের মা হাসিনা বেগম রান্নাঘরে ছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, পরিবারের অসচ্ছলতা ও অভাব অনটনের কারণেই বাবা দুই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মনু মিয়া।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামের মোকবুল হোসেনের ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী মনু মিয়া। তার দুই মেয়েও বাক প্রতিবন্ধী। একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তি প্রতিবন্ধী হওয়া এবং মনু মিয়া দীর্ঘদিন কাজকর্ম করতে না পেরে অভাব-অনটনে দিনানিপাত করছিলেন। শারীরিক অবস্থা ও দারিদ্রতা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, সকাল ৮টার দিকে মনু মিয়া এবং তার দুই মেয়েকে হাসপাতালে আনা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মনিরা ও ফাতিহার মৃত্যু হয়। বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। আমরা পুলিশের কাছে দুইজনের লাশ হস্তান্তর করেছি।
তিতাস থানার ওসি মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধী বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বাক প্রতিবন্ধী, দারিদ্র্যতা ও পারিবারিক হতাশা থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। নিহত দুই মেয়ের লাশ থানায় এনেছি, তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে।