রায়গঞ্জে অদম্য মেধাবী ও বন্ধু সমাবেশ অনুষ্ঠিত
Published: 9th, June 2025 GMT
‘ভালোর সাথে আলোর পথে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে অদম্য মেধাবী ও বন্ধু সমাবেশ। আজ সোমবার সকালে রায়গঞ্জ উপজেলা সদরের ধানগড়া এলাকায় ইউনিভার্স একাডেমি প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান হয়। সকালে প্রচণ্ড রোদ ও গরমের মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হন প্রথম আলো রায়গঞ্জ বন্ধুসভার সদস্য ও অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষার্থীরা সবাই ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষা বৃত্তিপ্রাপ্ত।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বন্ধু সমাবেশ ও প্রীতি মিলনমেলা শুরু হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন রায়গঞ্জ বন্ধুসভার সদস্য মহুয়া সাহা। সভাপতিত্ব করেন বন্ধুসভার সভাপতি মো.
অনুষ্ঠানে ধানগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মাহমুদুল হক বলেন, ‘রায়গঞ্জ ও তাড়াশের অদম্য মেধাবীদের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এর সহায়তায় অনেক শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন।’
ধানগড়া মহিলা কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘রায়গঞ্জ বন্ধুসভার এমন আয়োজনে অংশ নিয়ে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। এই মেধাবীরা পরিবার ও এলাকার গর্ব হবে।’
রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির প্রভাষক ইশরাত জাহান বলেন, ‘প্রথম আলো আমাকে শুধু পাঠ্যপুস্তকেই নয়, জীবনের নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। রায়গঞ্জ বন্ধুসভা আমার পাশে ছিল, অনেক কিছু শিখিয়েছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কুড়মালি ভাষার লেখক উজ্জ্বল কুমার মাহাতো, শিক্ষক অমিতাভ সাহা, নার্স মারুফা খাতুন, প্রভাষক হাসান ইকবাল সোহাগ, অভিভাবক অরুণ কুমার মাহাতো, প্রথম আলোর রায়গঞ্জ প্রতিনিধি সাজেদুল আলম, শিক্ষক রাকিবুল হাসান, বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আলমগীর খানসহ অনেকে।
অদম্য মেধাবীদের পক্ষে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রায়হান আজাদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অলোক কুমার মাহাতো, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলক কুমার মাহাতো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিথি সাহা ও নাফিছা নাহার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরাত জাহান, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদিয়া ইসলাম, রাজশাহী কলেজের সাদিয়া আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ইশরাত জাহান, সরকারি বিএসসি নার্স হিসেবে নির্বাচিত মারুফা খাতুন, স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া অন্তিম কুমার মাহাতো, মমতা খাতুন, মহুয়া সাহাসহ বন্ধুসভার সদস্য সানজিদ রেজা ও আশুতোষ কুমার মাহাতোকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে রায়গঞ্জ বন্ধুসভার সদস্য ও অর্ধশতাধিক অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী অংশ নেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অদম য ম ধ ব প রথম আল অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভিকারুননিসার ছাত্রী মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা, ডুবে প্রাণ গেল দুজনেরই
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী হালিমা মোহাম্মদ (১৮)। এবার তার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। ঈদুল আজহায় বাড়িতে বেড়াতে এসে বাবা বাবুল আহমেদ বাবুর (৬০) সঙ্গে পুকুরে নেমেছিল সাঁতার শিখতে। কিন্তু হালিমার সাতার শেখা আর হয়নি। বাবার হাত ফসকে ডুবে মারা যায়। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে তার বাবাও প্রাণ হারান।
সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, বাবুল আহমদের স্ত্রী তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তাদের চার সন্তান সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। বাড়ির কাছে মানিকসিংহ এলাকায় বাবুলের একটি ইটভাটা রয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে চার-পাঁচ দিন আগে তার স্ত্রী-সন্তানেরা বাড়িতে বেড়াতে আসে। তার সন্তানেরা সাঁতার জানে না। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে মেয়ে হালিমাকে নিয়ে পুকুরে নেমে প্লাস্টিকের টিউবের সাহায্যে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবুল। একপর্যায়ে টিউব থেকে হাত ফসকে হালিমা পানিতে ডুবে যায়। এ সময় বাবুল মেয়েকে রক্ষার চেষ্টা করেন। কিন্তু দুজনই পানি থেকে উঠছিলেন না। আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে পুকুরে নেমে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পরে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুজন মারা যান।
বাবুলদের আত্মীয় ও জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আজাদ মিয়া জানান, আজ রাত ১০টায় বাবুল ও তার মেয়ের জানাজা হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হবে।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘পানিতে ডুবে একসঙ্গে বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’