2025-06-09@15:33:27 GMT
إجمالي نتائج البحث: 23

«অদম য ম ধ ব»:

    ‘ভালোর সাথে আলোর পথে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে অদম্য মেধাবী ও বন্ধু সমাবেশ। আজ সোমবার সকালে রায়গঞ্জ উপজেলা সদরের ধানগড়া এলাকায় ইউনিভার্স একাডেমি প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান হয়। সকালে প্রচণ্ড রোদ ও গরমের মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হন প্রথম আলো রায়গঞ্জ বন্ধুসভার সদস্য ও অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষার্থীরা সবাই ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষা বৃত্তিপ্রাপ্ত। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বন্ধু সমাবেশ ও প্রীতি মিলনমেলা শুরু হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন রায়গঞ্জ বন্ধুসভার সদস্য মহুয়া সাহা। সভাপতিত্ব করেন বন্ধুসভার সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম।অনুষ্ঠানে ধানগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মাহমুদুল হক বলেন, ‘রায়গঞ্জ ও তাড়াশের অদম্য মেধাবীদের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এর সহায়তায় অনেক শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক...
    ‘সিলেটের জকিগঞ্জ এবং কানাইঘাট উপজেলার শিক্ষার উন্নয়নে ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফাহিম আল ইসহাক চৌধুরী শুধু এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন না, তিনি শিক্ষার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখে চলেছেন।’  শনিবার জকিগঞ্জের পরচক মৌলভী ছাইর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই উপজেলার শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে চলতি বছরে বৃত্তির সিলেবাস বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। সভায় জানানো হয়, আগামী নভেম্বরে দুই উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য পেনশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  ট্রাস্টের সহসভাপতি এটিএম সেলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফাহিম আল্ ইসহাক চৌধুরী। তিনি বলেন, আমার চিন্তা-চেতনা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে।...
    ব্যস্ত ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে গুলশানের বিলাসবহুল উঁচু ভবনগুলো যখন দেশের বৃহত্তম বস্তির ওপর দীর্ঘ ছায়া ফেলছে, কিউরেটর ও শিল্পী সুবর্না মোর্শেদা তখন সেখানে অসাধারণ কিছু তৈরি করছেন। দুর্জয় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সুবর্নার ‘সব বাধা পেরিয়ে’ প্রদর্শনীটি তুলে এনেছে কড়াইলের এক বিরল আভাস, প্রান্তিক মানুষের সাধারণ জীবন ও মানবিক অধ্যবসায়ের এক অসাধারণ চালচিত্র। প্রদর্শনীটি এ বছরের ২১-২৫ মে প্যারিসের গ্র্যান্ড প্যালেসে দ্বিবার্ষিক আয়োজন রেভেলেশনস ইন্টারন্যাশনাল ফাইন ক্রাফট অ্যান্ড ক্রিয়েশন বিয়েনালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে।কড়াইলের সরু গলি ধরে অসংখ্যবার হাঁটার অভিজ্ঞতা নিয়ে সুবর্না বলেন, ‘এখানকার শিশুরা পথকুকুরদের নামকরণ করে। এই ছোট ছোট কোমলতাই তাদের আসল চরিত্রের প্রকাশ। নারীরা প্রতিদিনের কষ্টের বিরুদ্ধে যেন আগুনে পুড়ে ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়ায়। প্রতিকূলতার মধ্যে তারা দেখায় অদম্য শক্তি ও সাহস।’সুবর্ণার কাজকে সত্যিকার অর্থে ভিন্নমাত্রা যোগ করে উপকরণের...
    হাত দিয়ে আমরা সবাই লিখি। বাহার উদ্দিন রায়হান লিখেন মুখ দিয়ে। কারণ, বাহারের এক হাত নেই, আরেক হাত থাকলেও, সেটি আছে কনুই পর্যন্ত। মুখে কলম আটকে কনুইয়ের সাহায্যে লিখে তিনি কয়েকটি পরীক্ষা দিয়েছেন, বাকিগুলো দিয়েছিলেন শ্রুতিলেখকের সহায়তা নিয়ে। এভাবে পরীক্ষা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে ২০১৬-১৭ সেশনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করে সম্প্রতি সমাবর্তন নিয়েছেন তিনি।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পঞ্চম সমাবর্তনের ছবি দেখে যোগাযোগ করি তাঁর সঙ্গে। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান জীবনের নানা কথা। বাহার উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার জহির পাড়ায়। ২০০৪ সালের কথা। বাহার তখন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে বছরের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় দেখতে পান, বাড়ির পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে বসানো ট্রান্সফরমারে একটি ছোট পাখি ঢুকে পড়েছে। সেই পাখিকে দেখার অদম্য নেশা পেয়ে বসে তাঁর। বৈদ্যুতিক তারে হাত...
    উনিশ শতকের আগে বাংলা ভাষায় কোনো আত্মজীবনী লেখা হয়নি। এক ধরনের আত্মপরিচয় তুলে ধরার ব্যক্তিগত প্রয়াস দেখা গেছে; যা কাহিনিকাব্যের মতো। চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে মুকুন্দরাম এবং পদ্মাবতীতে আলাওলের আত্মকাহিনি বাংলা ভাষায় পেয়েছি। পরবর্তী উনিশ শতকের শুরুতে জাতীয়তাবাদ বিকাশের মধ্যদিয়ে জাতিরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা যখন নাগরিকদের মাঝে জন্মে, সেই সাথে ব্যক্তি মানুষ শিকড় অন্বেষী হয়ে নিজেকে উপস্থাপনের মাধ্যম হিসেবে আত্মজীবনী লিখতে শুরু করে। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে কবি ও নাট্যজন অভীক ওসমানের আত্মজীবনী ‘আমি অকৃতি অধম’ । তিনশোর বেশি পৃষ্ঠাজুড়ে লিখিত বইয়ের পাতায় পাতায় লেখকের নানাবিধ  কর্মের দৃষ্টান্ত নক্ষত্রের আলো ছড়িয়েছে। শৈশব থেকে তার প্রায় সত্তর বছর অতিবাহিত যে জীবন, তার অনুপুঙ্খ সাবলীল বয়ানে আমরা সেই জীবনে পাবো সংগ্রামশীলতা, নিজেকে প্রতিষ্ঠার অদম্য বাসনা, মেধা ও শ্রমের যৌথ লড়াইয়ের আত্মদহনকাল। আত্মজীবনীতে অকপটে তিনি সবকিছুই প্রকাশ করেছেন,...
    নেই দুটি হাত, মুখ দিয়ে লিখেই প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অদম্য শিক্ষার্থী বাহার উদ্দিন রায়হান। বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত পঞ্চম সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েশনের সনদ গ্রহণ করেছেন তিনি। সমাবর্তনের গাউন-টুপি পরে উচ্ছ্বসিত রায়হান। তার দুর্দান্ত ইচ্ছাশক্তিতে মুগ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  বাহার উদ্দিন রায়হান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের মৃত বশির উদ্দিনের একমাত্র সন্তান। গত বছরে বিয়ের পিঁড়িতেও বসেছেন তিনি। মা এবং স্ত্রী মিলেই এখন তার পরিবার। বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি প্রজেক্টে কর্মরত তিনি। আরো পড়ুন: গল্প-আড্ডা-স্লোগানে ৪ দফায় অনঢ় জবি শিক্ষার্থীরা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ২০০৪ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় ট্রান্সফরমারের বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শে ঝলসে যায় রায়হানের দুই হাত। পাঁচদিনের মাথায়...
    গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের বরাইয়া (ভূঁইয়া বাড়ি) গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কৃষক আতিকুল্লাহ ভূঁইয়া। অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কৃষির প্রতি ভালবাসা দিয়ে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।  মাটি ও প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে শুরু হলেও তিনি আজ তার চাষাবাদ, সৃজনশীলতা এবং পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার মিশ্র ফল চাষ ও নার্সারি নিয়ে পুরো এলাকা জুড়ে প্রশংসা হচ্ছে। তার শখের বাগান এখন হয়ে দাঁড়িয়েঠে আয়ের দারুণ উৎস। আতিকুল্লাহ ভূঁইয়া তার কৃষি জীবন শুরু করেন শখের বসে। সেসময় তিনি জানতেন না- ইউটিউবে দেখানো ভিডিওগুলো তাকে জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে। একসময় বিদেশি ফল আঙুর ও রামভুটান নিয়ে তার আগ্রহ শুরু হয়। জানতেন না কীভাবে চাষ করতে হয়। কিন্তু একাগ্রতা আর শেখার...
    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ডিনস কমপ্লেক্সের শান্ত ছায়া ঘেরা পথ ধরে হাঁটলেই চোখে পড়বে এক আন্তরিক মুখ। পুরনো আর নতুন বইয়ের স্তূপের মাঝে বসে থাকা এই তরুণ উদ্যোক্তার নাম মাহবুব আলম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০০৮ সালে একটি দুর্ঘটনায় ডান চোখটি হারিয়ে ফেলেন তিনি। চোখের দৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও তার মনের আলোয় উদ্ভাসিত বইয়ের জগৎ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানেই চলে তার বই বিক্রি ও সাহিত্য আড্ডা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাজশাহী মহানগরীর মেহেরচণ্ডীর বুধপাড়ার বাসিন্দা। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। আরো পড়ুন: পেটানোর পরিকল্পনা করা গ্রুপের অ্যাডমিন ছাত্রদল সম্পাদক শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনা রাবি ছাত্রদলের, স্ক্রিনশট ভাইরাল ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে মাহবুব বইয়ের ব্যবসা শুরু করেন। ক্লাসের ফাঁকে অথবা ছুটির দিনগুলোতে ডিনস...
    মাত্র চার হাজার টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু। আজ তাঁর পুঁজি ৫০ লাখ টাকা। প্রতি মাসে আয় ৫০-৬০ হাজার টাকা। কর্মচারী আটজন। তাঁর লক্ষ্য– গ্রামীণ নারীদের জন্য একটি পোশাক কারখানা গড়ে তোলা। এটি এক সাহসিনী, সংগ্রামী নারীর গল্প। তিনি স্বপ্না রানী ঘোষ। সমাজের বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে যে নিজেকে সফল এক উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৮৭ সালে কুষ্টিয়া শহরে জন্ম স্বপ্নার। বাবা রঞ্জিত কুমার বসু ও মা কাঞ্চন রানী বসুর তিন মেয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। পরিবারের আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে দশম শ্রেণির বেশি পড়াশোনা করা হয়নি তাঁর। তখনই রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আমতলা গ্রামের স্বপন ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় স্বপ্নার। স্বামীর পেশা ছিল ফটোগ্রাফি আর সংসারে সদস্য সাতজন। সামান্য আয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে উঠছিল। পরিস্থিতির চাপে স্বপ্না শ্বশুরবাড়ির অনুমতি নিয়ে আবার পড়ালেখা...
    ২৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি ফটো সাংবাদিক ফাতিমা হাসসুনার জন্য ফটোগ্রাফি ছিল পেশার চেয়েও বেশি কিছু। এটি ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাস্তবতা তুলে ধরার এক অভিযান। গত ১৮ মাসে যুদ্ধের নামে ইসরায়েলি গণহত্যার কারণে ক্যামেরা হাতে ফাতিমা গাজার অলিগলিতে ঘুরতেন। ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনে মানবিক ক্ষয়ক্ষতি সংরক্ষণ করতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাড়িঘর, শোকাহত পরিবার এবং ধ্বংসের মধ্যে শিশুর চোখে আশার আলো খুঁজে বেরিয়েছে তাঁর ক্যামেরা। ফাতিমার তোলা হাজার হাজার ছবি সারাবিশ্বে গাজায় জীবন ও মৃত্যুর এক অম্লান জানালা খুলে দিয়েছিল। তাঁর লেন্স দেখিয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ ও মর্যাদা, বেদনা ও অদম্যতা, মৃত্যু আর সেই ছোট্ট আনন্দের সময়, যা বেঁচে থাকার সাহস জোগায়। তাঁর তোলা ছবিগুলো শুধু ইমেজ নয়, সেগুলো ছিল গাজাবাসীর অবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম ও মানবিকতার গল্প। তিনি বিশ্বাস করতেন, ক্যামেরাই তাঁর শক্তিশালী অস্ত্র; যা ইতিহাসকে রক্ষা...
    দিনটি ছিল ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল। কাজাখস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরিচালিত মহাকাশ বন্দর বাইকোনুর কসমোড্রমে শীতের চাদর ভেদ করে ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয়েছে প্রকৌশলীদের দৌড়ঝাঁপ। প্রতিটি যন্ত্র, প্রতিটি সংযোগ—দ্বিগুণ সতর্কতায় পরীক্ষা চলছে। লঞ্চপ্যাডে (যে স্থান থেকে রকেট উৎক্ষেপণ হয়) তখন উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। এর মধ্যে সেখানে অপেক্ষমাণ ভস্তক–১ রকেটের ককপিটে গিয়ে বসলেন এক তরুণ। গায়ে চাপানো কমলা রঙের স্পেস স্যুট আর চোখে বিস্ময়ের ঝিলিক।সেই ঐতিহাসিক সকালে ২৭ বছর বয়সী ওই তরুণকে নিয়ে ছোট্ট মহাকাশ যানটি ছুটে গেল অসীম অজানার উদ্দেশ্যে। সামনে সীমাহীন অনিশ্চয়তা। আর কখনো চেনা ডেরায় ফিরতে পারবেন কি না, জানা নেই। যে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে চলেছেন সেখানে পৌঁছাতে পারবেন কি না, তার ঠিক নেই। যাত্রাপথে উনিশ-বিশ হলে নেই বেঁচে ফেরার একরত্তি সম্ভাবনা। এরপরও এক অদম্য নেশায় পাড়ি দিলেন...
    যশোরের মণিরামপুরে ‘হাত-পা ছাড়া জন্ম নেওয়া’ সেই অদম্য মেধাবী লিতুন জিরা চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। মণিরামপুর উপজেলার গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন লিতুন জিরা। তার পরীক্ষার কেন্দ্র উপজেলার নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ।  বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) প্রথম দিনে ইউএনও নিশাত তামান্না পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে লিতুন জিরাকে দেখে অভিভূত হন। লিতুন জিরার এগিয়ে যাওয়ার পথে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসও দেন ইউএনও। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সাতনল খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ও জাহানারা বেগম দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছোট লিতুন জিরা। বড় ছেলে ঢাকার একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন। লিতুন জিরা পিইসি (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা) ও জেএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর, প্রাথমিকে বৃত্তি লাভ, শ্রেণির সেরা শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চায়ও রেখেছেন চমক জাগানো অবদান।  লিতুন...
    চীনের জাতীয় পর্যায়ের সুবিশাল সম্মেলনটি হলো রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন (সিপিপিসিসি)। আর এই সম্মেলনের সদস্যদের মধ্যেও আছে নানা ধরনের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য। এ সম্মেলনের বার্ষিক অধিবেশনের দ্বিতীয় ‘সদস্য করিডোর’-এ এবার সবার নজর কেড়েছেন এক বিশেষ অতিথি। তিনি সিপিপিসিসি’র সদস্য এবং চীনের ইউনি সংস্কৃতি ও শিল্প ঐতিহ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ইয়াং ইউ নি। ইয়ুননান প্রদেশের হানি জাতিগোষ্ঠীর এই তরুণী তার শৈশব কাটিয়েছেন হানির সিঁড়ি আকারে তৈরি ক্ষেতের পাশে, যেখানে ছড়িয়ে রয়েছে ১৩০০ বছরের ঐতিহ্য। ইয়াং ছোটবেলা থেকেই হানি সংস্কৃতির আবহে বড় হয়েছেন। সংগীত, নৃত্য, এবং প্রাচীন চীনা গান তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আরো পড়ুন: তাইওয়ানের আকাশে ৫৯ চীনা বিমান শনাক্ত উত্তর কোরিয়া ও চীনকে লক্ষ্য করে জাপানের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তিনি দেখেন, চীনের...
    শারীরিক প্রতিবন্ধী হোসনা আক্তার। উচ্চতা ৩৯ ইঞ্চি। প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষকে স্বাবলম্বী করতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ময়মনসিংহ নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের চর কালিবাড়ী এলাকার কুদরত আলী ও আলেয়া বেগম দম্পতির মেয়ে হোসনা আক্তার। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটাতে চেষ্টার কমতি নেই তাঁর। এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ছুটে বেড়ান শুধু প্রতিবন্ধীর খোঁজে। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘অগ্রণী প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন। এ সংগঠনের প্রতিবন্ধীরা হোসনাকে বানিয়েছেন সভাপতি। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া, চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নসহ নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে রয়েছে আট শতাধিক প্রতিবন্ধী। শুয়ে-বসে খাওয়া ছাড়া পরিবারের জন্য তাদের কিছুই করার ছিল না। কিন্তু কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের আর্থিকভাবে সচ্ছল করার উদ্যোগ নেন হোসনা আক্তার। সরকারি-বেসরকারিভাবে পাওয়া সহায়তা হোসনা পৌঁছে দেন প্রতিবন্ধীদের হাতে। নানা...
    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।” ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। আরো পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাবিতে সেমিনার রাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের...
    ছবি: সৌরভ দাশ
    ‘দ্রৌপদীর কালো শরীর আরো কাছে আসে। দ্রৌপদী দুর্বোধ্য, সেনানায়কের কাছে একেবারে দুর্বোধ্য এক অদম্য হাসিতে কাঁপে। হাসতে গিয়ে ওর বিক্ষত ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরে এবং সে রক্ত হাতের চেটোতে মুছে ফেলে দ্রৌপদী কুলকুলি দেবার মত ভীষণ আকাশচেরা, তীক্ষ্ণ গলায় বলে, কাপড় কি হবে, কাপড়? লেংটো করতে পারিস, কাপড় পরাবি কেমন করে? মরদ তু?’ মহাশ্বেতা দেবীর ‘দ্রৌপদী’ গল্পে একটি চরিত্র আমাদের চোখে ধরা দেয়, যা নারীর প্রতিবাদের এক অনন্য রূপ। এই উদ্ধৃতিতে আমরা দেখতে পাই, দ্রৌপদী তার নিজের শরীরকেই প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। মহাভারতের দ্রৌপদীর মতো সে কোনো দৈবী শক্তির সাহায্য চায় না। বরং সে নিজেই তার অধিকারের জন্য লড়াই করে। এই চরিত্রের মাধ্যমে মহাশ্বেতা দেবী ‘পুরুষ নারীর রক্ষক’ এই প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। নারীর প্রতিবাদের ভাষা শুধু শব্দে সীমাবদ্ধ...
    গৃহবধূ বিলকিস বেগমের (৪২) স্বামী রশিদ খাঁ তখন অসুখে শয্যাশায়ী। ১৭টি বেসরকারি সংস্থার কাছে তাঁদের ঋণ ছিল অন্তত ৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে পা ভাঙে রশিদের। অভাবের কারণে আবাদি জমিটুকুও বন্ধক দিতে হয়। তবে বিপদের সময় ভেঙে পড়েননি বিলকিস; শিখেছেন ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরির কাজ। এর মাধ্যমে আয় করে তিনি সংসার চালিয়েছেন; স্বামীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি বন্ধকি জমিও উদ্ধার করেছেন। এখন তাঁর মাসে আয় ১৫-২০ হাজার টাকা।বিলকিসের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি কারিগরপাড়া গ্রামে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তিনিসহ রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ ৫ অদম্য নারীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন বিলকিস। ‘অদম্য নারী পুরস্কার-২০২৪’ কার্যক্রমের আওতায় গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা...
    ঢাকা বিভাগের সংগ্রামী পাঁচজন নারী পেয়েছেন ‘অদম্য নারী পুরস্কার- ২০২৪’। বুধবার রাজধানীর দোয়েল চত্বরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়নে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই পাঁচ নারীকে পুরস্কার তুলে দেন সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ।  পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে রাজবাড়ির স্বপ্না রানী ঘোষ, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের মাসুদা আক্তার, সফল জননী ক্যাটাগরিতে কিশোরগঞ্জের সেলিনা মজিদ, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা ফরিদপুরের লিপি বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় ফরিদপুরের সামর্তবান। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে অনুষ্ঠান মঞ্চে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং ২৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, মেয়েদের কথা বলতে গেলে আমরা নারীর অসহায়ত্বের কথা বেশি বলি। কিন্তু যদি এই দেশের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে...
    দারিদ্র্য জয় করে শিশুকালে মা হারানো ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের নিকড়হাটা গ্রামের অদম্য মেধাবী শাপলা খাতুন নীলফামারী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় তাঁকে সংবর্ধিত করেছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। ২৮ জানুয়ারি  সকালে সাপ্তাহিক ঈশ্বরদী কার্যালয়ে শাপলার হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং মেডিকেলে ভর্তির জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করে তাঁকে সংবর্ধনা দেন সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এ সময় ঈশ্বরদীর আরেক কৃতী শিক্ষার্থী সামিন ইয়াসির সামি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় তাঁকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সুহৃদরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সুহৃদরা শাপলাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তাঁর পারিবারিক অবস্থার কথা তুলে ধরলে নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ শাপলার হাতে মেডিকেলে ভর্তির জন্য সমুদয় অর্থ ও ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তাঁর ভর্তি ছাড়াও পড়াকালীন বিভিন্ন প্রয়োজনে তাঁকে সহায়তার আশ্বাস দেন। এ...
    ছোটবেলায় একটা গল্প শুনে বেশ মজা পেয়েছিলাম। তা হলো শিক্ষক ক্লাসে লেকচার দেওয়ার সময় ছাত্রদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, যদি তোমাদের এক পাশে কিছু বই, অন্য পাশে কিছু টাকা রাখা হয় তাহলে তোমরা কোনটা নেবে? উত্তরে এক দুষ্ট ছাত্র বলে উঠল, স্যার, আমি টাকা নেব। তখন স্যার বললেন, হায়রে অপদার্থ! আমি হলে বই নিতাম। জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।  অর্থই সকল অনর্থের মূল। ছাত্র তখন বলে উঠল, স্যার, যার যা অভাব, সে তাই  নেবে। সে আরও বলল, আমার ওজন আছে, আয়তন আছে, জায়গা দখল করি, বল প্রয়োগ করি। কোনো অবস্থাতেই আমি অপদার্থ নই।  গল্পটা হাস্যরসাত্মক হলেও বেশ ইঙ্গিতবহ। সেটাকে আরেকটি বাংলা প্রবাদ দিয়ে বলা যায়– রতনে রতন চেনে, শূকর চেনে কচু। সম্প্রতি আমিও অনুরূপ এক ঘটনার সাক্ষী। আমার একটা অভ্যাস হলো মাঝে মাঝে স্কুলের মেধাবী...
    শাপলা যখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তখন তার মা কুলছুম বেগম কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর থেকেই শাপলার মনে চিকিৎসক হওয়ার অদম্য ইচ্ছা জাগে। অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এর পর এ বছর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন শিশুকালে মা হারানো সেই শাপলা। নীলফামারী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও আর্থিক সংকটের কারণে তার ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের নিকড়হাটা গ্রামের অটোরিকশা চালক শফিকুল ইসলামের মেধাবী এই মেয়েটির চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। শাপলাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সহায় সম্পত্তি বলতে দুটো ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই তাদের। বাবা পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের নিয়ে তার একার আয়েই চলে সংসার। তার পরিবার জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর স্বল্প আয় দিয়ে যেখানে...
۱