‘চিকিৎসা পাননি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী’, ক্ষোভে চিকিৎসককে পিটুনি
Published: 10th, June 2025 GMT
কোটালীপাড়া ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন এক চিকিৎসক। ঘটনার পরপরই হামলাকারী যুবককে আটক করা হয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন হাসপাতালের কর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ডা. অনুপম বাড়ৈ লিটুর ভাষ্য, ‘জরুরি বিভাগে আমার রুমে বসে রোগী দেখছিলাম। হঠাৎ একজন অপরিচিত লোক রুমের দরজা বন্ধ করে আমাকে মারধর করতে থাকে। আমার চিৎকারের শব্দ পেয়ে স্টাফরা দরজা ভেঙে আমাকে উদ্ধার করেন। শুনেছি, সোহেল হাওলাদার কয়েকদিন আগে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে দেখা গেছে, হাসপাতালে আনার চারদিন আগেই ওই বাচ্চা মারা গেছে।’
হামলাকারী সোহেল হাওলাদার উপজেলার ফেরধরা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী সাদিয়া খানমের ভাষ্য, ‘আমি অসুস্থ অবস্থায় ২৯ মে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন সঠিক চিকিৎসার অভাবে আমার বাচ্চা মারা গেছে। এই কারণে আমার স্বামী সোহেল হাওলাদার ডাক্তারকে মারধর করতে পারেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডা. অনুপম বাড়ৈ লিটুকে মারধরের ঘটনায় সোহেল হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকে মারধর, আটক ১
গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোহেল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন হাসপাতালের কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ঘটনাটি ঘটে।
কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মৃদুল কুমার দাস জানান, ৩-৪ দিন আগে সোহেল হাওলাদার তার গর্ভবতী স্ত্রীকে কোটালীপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তান মারা গেছে এমন রিপোর্ট দেওয়া হয় তাকে। স্ত্রীকে সঠিক চিকিৎসা না দেওয়ায় তার সন্তান মারা গেছে এমন অভিযোগ এনে জরুরি বিভাগের দরজা বন্ধ করে চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈকে রডের পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন সোহেল হাওলাদার। পরে কর্মচারীরা দরজা ভেঙে চিকিৎসককে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ দেয়।
আরো পড়ুন:
হাসপাতালে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকসহ ১০ জনকে পিটুনি
পানি নিষ্কাশন নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেল বৃদ্ধের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহত চিকিৎসককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্মচারীরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চিকিৎসা সেবা বন্ধের ঘোষণা করেন। পরে ডা. মৃদুল কুমার দাসের আশ্বাসে কর্মচারীরা কাজে ফিরে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী বদিউজ্জামান বলেন, “দেখলাম সোহেল হাওলাদার রুমের মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। এরপর ভেতর থেকে চিৎকারের অওয়াজ আসলে কর্মচারীরা দরজা ভেঙে ডাক্তারকে উদ্ধার করে।”
অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী বলেন, “গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আমি হাসপাতালে ভর্তি হই। ওই দিন আমার বাচ্চা নড়াচড়া করে। হাসপাতালে আসার পর ডাক্তার খোঁজ করেও পাইনি। পরে নার্সদের বললে তারা বলে স্যাররা কিছু না করলে আমরা কিছু করতে পারব না।”
তিনি বলেন, “আমার স্বামী ডাক্তারের হাত-পা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও ডাক্তর আসেনি। নার্সরা আমাকে ইনজেকশন দিলে জ্বর হয়। পরে ডাক্তার বলেন, ২-৩ দিন আগে আমার বাচ্চা মারা গেছে। সঠিক চিকিৎসা না দেওয়ায় আমার সন্তান মারা গেছে।”
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, ওই যুবকের স্ত্রীর সন্তান পেটের মধ্যে মারা গেছে।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ