যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে লন্ডন সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের কোনো সূচি এখনো ঠিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই মুহূর্তে কানাডা সফরে রয়েছেন।

১৪ জুন পর্যন্ত অধ্যাপক ইউনূসের লন্ডনে অবস্থানকালে কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে ফিরে এলে এবং তাঁর শিডিউল (সূচি) পাওয়া গেলে বৈঠক হতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটায় লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ (১০ জুন) লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে ওঠেন তিনি।

প্রেস সচিব শফিকুল বলেন, ডরচেস্টার হোটেলে দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইউরোপীয় বিমান সংস্থা এয়ারবাসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াউটার ভ্যান ওয়র্শ এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় স্কটল্যান্ডভিত্তিক মেনজিস এভিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ওয়াইলির পূর্বনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ভবনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘যেন ভূমিকম্প হল’ বিমান দুর্ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শী

ভারতের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, যখন বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল তখন তার মনে হয়েছিল, ‘যেন ভূমিকম্প হল’। খবর বিবিসি বাংলার

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ১৭ মিনিটে ভারতের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ঘরেই বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রচন্ড একটা শব্দ হল। মনে হল যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। আমি তখনও জানতাম না বিমান ভেঙে পড়েছে। পরে এখানে এসে জানতে পারি।’ 

‘এখানে এসে দেখি, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে আর ওখানে অনেকগুলো মৃতদেহ পড়ে আছে, বলেছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী।

বিজেপি বিধায়ক দর্শনা বাঘেলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলের কাছেই নিজের দপ্তরে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আমার অফিসে বসেছিলাম। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে গিয়ে দেখি, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচুর ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ডাক্তারের হোস্টেলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকদের সহায়তায় আমরা অনেককে উদ্ধার করতে পেরেছি।

এদিকে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার। তবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।

পুলিশের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বিধ্বস্ত বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ