রাতে বাড়িতে ফেরেননি, সকালে বাড়ির পাশে মিলল ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ
Published: 12th, June 2025 GMT
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের ধনমণ্ডল-মল্লানীপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মকলেছার রহমান (৩৫) গতকাল বুধবার রাতে বাড়িতে পারেননি। রাতভর স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি করলেও তাঁর সন্ধান পাননি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড় ও সুপারিবাগানে তাঁর গলাকাটা লাশ পাওয়া গেছে। তাঁকে হত্যার পর সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করছেন পুলিশ ও স্বজনেরা।
আজ দুপুরে ঘটনাস্থল ধনমণ্ডল-মল্লানীপাড়া এলাকা থেকে আলামত সংগ্রহসহ লাশটি উদ্ধারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পুলিশ। নিহত মকলেছার রহমান একই এলাকার শাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় খোঁচাবাড়ি বাজারে একটি কসমেটিকসের (প্রসাধনী) দোকান চালাতেন।
নিহত মকলেছারের পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাতে দণ্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য গৌরাঙ্গ রায় বলেন, মকলেছার রহমান একসময় ঢাকায় গাড়ি চালাতেন। সম্প্রতি বাড়িতে এসে স্থানীয় খোঁচাবাড়ি বাজারে একটি কসমেটিকসের দোকান দেন। গতকাল রাত ১০টার পরও তাঁকে স্থানীয় লোকজন বাজারে দেখেছেন। রাতে মকলেছার তাঁর এক ভাগনেকে (১৬) দোকানে রেখে মোটরসাইকেলের ‘চাবি দিয়ে আসছি’ বলে বের হয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ পরও তিনি ফিরে না আসায় ওই ভাগনে তাঁকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বন্ধ পায়। পরে সে বাড়িতে চলে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে জানালে তাঁরাও ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মকলেছারের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে স্থানীয় এক নারী ছাগল বাঁধতে বের হলে মকলেছারের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে খোঁচাবাড়ি-কালীগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশে একটি বাঁশঝাড় ও সুপারিবাগানে তাঁর লাশ দেখতে পান। এ সময় তাঁর চিৎকারে মকলেছারের পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে লাশটি মকলেছারের বলে নিশ্চিত হয়। পরে তাঁরা দেবীগঞ্জ থানা-পুলিশকে খবর দেন।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলেই লাশের প্রাথমিক সুরতহাল ও আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে। এতে সিআইডি ও পিবিআইয়ের সদস্যরা কাজ করছেন। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’