খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি খুন
Published: 12th, June 2025 GMT
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় মিনজু আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার তিনটহরী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় গুচ্ছগ্রামের বাড়ির পাশ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মিনজু উপজেলার গোদাতলী এলাকার বাসিন্দা আহম্মদ নবীর মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিনজু আক্তারের স্বামী মো.
স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে বাড়ির পাশে আমগাছের নিচে মিনজুর লাশ নিয়ে বিলাপ করছিলেন স্বামী ফরহাদ। বিলাপ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে স্বামী ফরহাদ জানান, পারিবারিক কলহের জেরে মিনজু পাশে থাকা আমগাছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরে মানিকছড়ি থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তবে নিহত মিনজুর পরিবারের সদস্যদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয় বরং একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মিনজু আক্তারের পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে, এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের কারণে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ন কছড়
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।