খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় মিনজু আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার তিনটহরী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় গুচ্ছগ্রামের বাড়ির পাশ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মিনজু উপজেলার গোদাতলী এলাকার বাসিন্দা আহম্মদ নবীর মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিনজু আক্তারের স্বামী মো.

ফরহাদ ও দেবর মো. সোহাগকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে বাড়ির পাশে আমগাছের নিচে মিনজুর লাশ নিয়ে বিলাপ করছিলেন স্বামী ফরহাদ। বিলাপ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে স্বামী ফরহাদ জানান, পারিবারিক কলহের জেরে মিনজু পাশে থাকা আমগাছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরে মানিকছড়ি থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তবে নিহত মিনজুর পরিবারের সদস্যদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয় বরং একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মিনজু আক্তারের পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে, এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের কারণে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ন কছড়

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।

তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়। 

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ