ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় তারেক রহমানের সমবেদনা
Published: 12th, June 2025 GMT
ভারতের আহমাদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এ সমবেদনা জানান তিনি।
পোস্টে তারেক রহমান বলেন, “এটা হৃদয়বিদারক যে, বিভিন্ন দেশের ২৪২ জনকে বহনকারী লন্ডনগামী একটি বিমান ভারতে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়েছে। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই। আসুন, আমরা সকলেই এই শোকের সময়ে তাদের পাশে দাঁড়াই এবং আমরা আন্তরিকভাবে তাদের জন্য প্রার্থনা করি।”
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের আহমাদাবাদের সর্দার বল্লব ভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিল। এর মধ্যে ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ জন যুক্তরাজ্য, একজন কানাডা ও সাত জন পর্তুগালের নাগরিক।
আরো পড়ুন:
২৪২ আরোহীর মধ্যে এক জন বেঁচে গেলেন
প্রধান উপদেষ্টার শোক
ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম ন ব ধ বস ত ব এনপ ত র ক রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘তথ্য আপা’দের কথা শুনতে সরকারের প্রতি আহ্বান
চাকরি স্থায়ীকরণ বা রাজস্ব খাতে নতুন পদ সৃষ্টি করে স্থানান্তরের দাবিতে ১৭ দিন ধরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। শিশুসন্তান নিয়েও অবস্থান করেছেন অনেকে। তবে তাঁদের দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে আর বাকি রয়েছে মাত্র ১৭ দিন। এ অবস্থায় আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশ থেকে তথ্য আপাদের কথা শোনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
নাগরিক সমাবেশের পক্ষে অবস্থানপত্র পাঠ করেন লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা। অবস্থানপত্রে বলা হয়, তথ্য আপাদের কথা শুনতে হবে। অন্যায়ভাবে ১৯৬৮ জন নারীকে চাকরিচ্যুত করা চলবে না। এতে আরও বলা হয়, প্রকল্পের ১ হাজার ৯৬৮ জন কর্মীর কাছ থেকে ৭ বছরে মোট ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকার বেশি কেটে নিয়েছে। সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। এই টাকা পাওয়ার জন্য ২০২২ সালে তথ্য আপারা আদালতে রিট করেন। আদালতের রায় তাঁদের পক্ষে গেলেও টাকা দেওয়া হয়নি।
অবস্থানপত্রে বলা হয়, দেশের গ্রামীণ নারীরা সরকারি সেবা, যেমন টিকা, ঘর বরাদ্দ, টিন, জাতীয় পরিচয়পত্র হালনাগাদ ইত্যাদি নানাবিধ অনলাইন সেবার জন্য তথ্য আপাদের ওপর ভরসা করে। কোনো সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হলে তথ্য আপাদের পরামর্শ নেয়।
অবস্থানপত্রে আরও বলা হয়, গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী আমলে প্রচুর লুটপাটের অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোতেও বল্গাহীন লুটপাট চলেছিল। কিন্তু সেই দায় মাঠকর্মীদের নয়। বরং প্রকল্পের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং যাঁরা প্রকল্পটি তৈরি করেন, তাঁদের দায়। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ‘আওয়ামী আবর্জনা’ হিসেবে অভিহিত করে তথ্য আপারা চাকরিচ্যুতির শিকার হচ্ছেন। কোনো সচিব বা উপসচিব এভাবে চাকরিচ্যুত হচ্ছেন না।
অবস্থানপত্রে অভিযোগ করা হয়, জুলাই গণহত্যার প্রকৃত রাজনৈতিক বিচার না করে, যে কেউ আন্দোলন করতে এলেই তাঁকে ‘আওয়ামী ট্যাগ’ দেওয়া একটি চিহ্নিত প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এ কর্মসূচি চলার সময় কর্মীরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর শান্তিপূর্ণভাবে দেখা করতে গেলে তাঁদের ওপর পুলিশ ন্যক্কারজনক হামলা করে।
নাগরিক সমাবেশে স্বাগত বক্তব্যে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মারজিয়া প্রভা বলেন, যখন নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলা হচ্ছে, তখন এত নারীর চাকরিচ্যুতি প্রত্যাশিত নয়।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপ্রধান সীমা দত্ত, চিকিৎসক হারুন উর রশীদ, সাংস্কৃতিক কর্মী বীথি ঘোষ এবং মানবাধিকারকর্মী জাকিয়া শিশির।
সমাবেশে ঝালকাঠি তথ্যসেবা কর্মকর্তা সঙ্গীতা সরকার বলেন, ‘মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটা মানুষও আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। এটা লজ্জাজনক, দুঃখজনক। নিজেদের অভিভাবকহীন মনে হচ্ছে। কর্মকর্তারা যেন নিজেদের দরকারে প্রকল্প নিয়েছেন, বাণিজ্য করেছেন আর এখন প্রয়োজন শেষে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগদলীয় ট্যাগ লাগিয়ে বিদায় করতে চাইছেন। অথচ আমরা কোনো দলের নয়, আমরা বাংলাদেশ সরকারের।’
সঙ্গীতা সরকার বলেন, তাঁদের দাবি, চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে অথবা নতুন পদ সৃষ্টি করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে এবং কেটে নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে হবে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন প্রকল্পে নিয়োগ পেতে তাঁরা নতুন প্রার্থীদের সঙ্গে আবার পরীক্ষা দিতে চান না।
শিশুসন্তানদের নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দুজন ‘তথ্য আপা’