ভারতের আহমাদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এ সমবেদনা জানান তিনি।

পোস্টে তারেক রহমান বলেন, “এটা হৃদয়বিদারক যে, বিভিন্ন দেশের ২৪২ জনকে বহনকারী লন্ডনগামী একটি বিমান ভারতে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়েছে। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই। আসুন, আমরা সকলেই এই শোকের সময়ে তাদের পাশে দাঁড়াই এবং আমরা আন্তরিকভাবে তাদের জন্য প্রার্থনা করি।”

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের আহমাদাবাদের সর্দার বল্লব ভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিল। এর মধ্যে ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ জন যুক্তরাজ্য, একজন কানাডা ও সাত জন পর্তুগালের নাগরিক। 

আরো পড়ুন:

২৪২ আরোহীর মধ্যে এক জন বেঁচে গেলেন

প্রধান উপদেষ্টার শোক
ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম ন ব ধ বস ত ব এনপ ত র ক রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ