ইতিহাসের ভয়ংকর ১০ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা
Published: 13th, June 2025 GMT
আকাশ পথে বিশ্বের এক দেশ থেকে অন্য দেশে, এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর দ্রুততম মাধ্যম হচ্ছে উড়োজাহাজ। এই যানবাহনে চলাচলকেও সবচেয়ে নিরাপদও মনে করা হয়। তারপরেও উড়োজাহাজও মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আগুন লেগে দুর্ঘটনা, খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা, জঙ্গির ছুড়ে দেওয়া গুলিতে বিদ্ধস্ত হওয়ার মতো ঘটনাগুলো ঘটে। উড়োহাজার দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আরোহীদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়। বিশ্বের আলোচিত ১০টি ভয়ংকর উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হলো।
১.
২. জাপান: ১৯৮৫ সালের ১২ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে আরেকটি ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনা ঘটে জাপানের ইউয়েনো এলাকায়। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে গিরিখাতে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে এতে মারা যান ৫২০ জন। মাত্র চারজন জীবিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
মিনিটে ৪০০ ফুট গতিতে নীচে নামছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান
ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় তারেক রহমানের সমবেদনা
৩. দিল্লি: ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর তারিখে ভারতের দিল্লির কাছে ঘটে আরেকটি উড়োহাজ দুর্ঘটনা। ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল হরিয়ানা রাজ্যের চরকি দাদড়ি এলাকায় মাঝ–আকাশে। সেদিন সৌদি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের সঙ্গে কাজাখস্তান এয়ারলাইনসের আরেকটি উড়োজাহাজের মধ্য আকাশে সংঘর্ষ হয়। মারা যান ৩৪৯ জন। এ ঘটনা ঘটে নির্দেশনা লঙ্ঘন করার কারণে।
৪. প্যারিস: ১৯৭৪ সালের ৩ মার্চ তারিখে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বাইরের একটি এলাকায় আরেকটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় টার্কিশ ডিসি–১০ উড়োজাহাজের পেছনের কার্গো এলাকার দরজা ভেঙে পড়ে। এর ফলে ৩৪৬ আরোহীর সবাই মারা যান। ওই দুর্ঘটনার পরে উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের কার্গোর নকশায় পরিবর্তন আনে।
৫. এয়ার ইন্ডিয়া: আটলান্টিক মহাসাগরের আয়ারল্যান্ড উপকূলে ১৯৮৫ সালের ২৩ জুন তারিখে এয়ার ইন্ডিয়া বিদ্ধস্ত হয়। শিখ জঙ্গিদের বোমায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় মারা যান উড়োজাহাজের ৩২৯ আরোহীর সবাই। তাদের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক ছিলেন ২৬৮।
৬. সৌদিয়া ফ্লাইট ১৬৩: ১৯৮০ সালের ১৯ আগস্টে পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে জেদ্দায় যাচ্ছিল উড়োজাহাজটি। পথিমধ্যে রিয়াদে উড্ডয়নের পরই উড়োজাহাজটিতে আগুন লাগে। ওই দুর্ঘটনায় মারা যান ৩০১ আরোহীর সবাই।
৭. ইরান এয়ার: দিনটি ১৯৮৮ সালের ৩ জুলাই, পারস্য উপসাগরের আকাশে ইরান এয়ারের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ গুলি করে ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই দুর্ঘটনায় মারা যান ২৯০ আরোহীর সবাই। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, ভুল করে ওই গুলি করা হয়।
৮. ইরানের ইলিউশিন বিমান: ২০০৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিতে ইরানের কেরমান এলাকায় খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয় প্রভাবশালী বিপ্লবী গার্ড সদস্যদের বহনকারী উড়োজাহাজটি। এতে মৃত্যু হয় ২৭৫ আরোহীর।
৯. আমেরিকান এয়ারলাইনস: ১৯৭৯ সালের ২৫ মে তারিখে শিকাগো অঞ্চলে আমেরিকান এয়ারলাইনস-এর বাম পাখা থেকে একটি ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। এতে মারা যান ২৭৩ আরোহীর সবাই।
১০. কোরিয়ান এয়ারলাইনস: ১৯৮৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর তারিখে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মনোরন দ্বীপ অঞ্চলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সোভিয়েত বাহিনী গুলি করে ভূপাতিত করে কোরিয়ান এয়ারলাইনসটি। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটিতে থাকা ২৬৯ আরোহীই মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম ন ব ধ বস ত দ র ঘটন য় দ র ঘটন র হ র সব ই এল ক য় জ হ জট
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে ডিসির বাসভবনে হামলার ঘটনায় ১০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের জেরে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বাসভবনে হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ পৌর পার্ক, লঞ্চঘাট, কাঁচাবাজার এলাকাসহ সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে জনগণের মনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে যান চলাচল ব্যাহত করা হয়। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের পক্ষে মিছিল করা হয়। আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে ও এনসিপির পথসভা নস্যাৎ করতে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করতে জনসাধারণের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
এ নিয়ে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, জেলা কারাগারে হামলা, জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১৪টি মামলা করা হলো। সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। ১৪টি মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১ হাজার ১৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৪ হাজার ৫৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় ১৬ জুলাই থেকে গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা হামলা চালান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। রাতেই কারফিউ জারি করা হয়। পরে কারফিউর মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। পরে ২০ জুলাই রাত আটটায় কারফিউ ও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়।