২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে আনচেলত্তির ব্রাজিল
Published: 13th, June 2025 GMT
২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হতে এখন এক বছরও বাকি নেই। তিনটি স্বাগতিক দেশসহ অংশ নিতে যাওয়া ৪৮ দেশের মধ্যে ১৩টি দলই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। সর্বশেষ ১১ জুন বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে প্রতিযোগিতার সফলতম দল ব্রাজিল। বাছাইপর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে দেশটি। ব্রাজিলই এখন পর্যন্ত একমাত্র দল, যারা ফুটবল বিশ্বকাপের সব কটি আসরে খেলেছে।
ব্রাজিল অবশ্য বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেয়েই থেমে নেই। দুঃসময় কাটিয়ে নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তির অধীন ঘুরে দাঁড়াতে চায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সে লক্ষ্যে বিশ্বকাপ সামনে রেখে বছরব্যাপী পরিকল্পনাও সাজাচ্ছে তারা।
যেখানে লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপের জন্য সেরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ‘হেক্সা’ (ষষ্ঠ শিরোপা) জয়ের অভিযানে নামা। আগামী এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিলের পরিকল্পনা কেমন হতে পারে, তা জানিয়েছে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’। সেই পরিকল্পনাই এখানে তুলে ধরা হলো।
আরও পড়ুনব্রাজিল ১০০–তে ১০০, আরও যারা বিশ্বকাপের টিকিট পেল১১ জুন ২০২৫সেপ্টেম্বর ২০২৬: সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শেষ রাউন্ডে দুটি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সর্বশেষ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করায় সেই ম্যাচ দুটি দিয়েই মূলত বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করবে আনচেলত্তির দল। ৯ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে ব্রাজিল খেলবে চিলির বিপক্ষে। আর ১৪ সেপ্টেম্বর বলিভিয়ার মাঠে আতিথ্য নেবে ‘সেলেসাও’রা। বিশ্বকাপে খেলার সমীকরণে এ দুটি ম্যাচের গুরুত্ব না থাকলেও প্রস্তুতির জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচগুলো দিয়ে বিশ্বকাপের দল বাছাইয়ের কাজও শুরু করবেন আনচেলত্তি।
আনচেলত্তির পরিকল্পনার কেন্দ্রে থাকবেন ভিনিসিয়ুস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প র স প ট ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।