মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
Published: 13th, June 2025 GMT
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ষ ক র য় কর
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকে ছবি দেখে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ শনাক্ত
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ফেসবুকে ছবি ও শরীরের পোশাক দেখে বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি শনাক্ত করেছেন পরিবারের লোকজন। নিহত ব্যক্তির নাম ফয়েজ আহাম্মদ। তিনি বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আব্দুল মুনাফের ছেলে। গত শনিবার কোরবানির ঈদের আগের রাতে নিখোঁজ হন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গত সোমবার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বাকশীমূল এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় লাশটি আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছবি দেখে ফয়েজের স্ত্রী রোকসানা জান্নাত ও পরিবারের লোকজন লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।
রোকসানা জান্নাত সাংবাদিকদের জানান, ফয়েজ আহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে অর্থসংকটে ভুগছিলেন। তিনি একটি এনজিও থেকে চার লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ না করাসহ আর্থিক অসচ্ছতলতার কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। কোরবানির ঈদের আগের দিন রাতে (শুক্রবার রাতে) খাবার খেয়ে স্থানীয় রেললাইনের পাশে একটি ঈদগাহ পাহারা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। পরদিন ঈদগাহ কমিটির লোকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানায়, তিনি (ফয়েজ) ঈদগাহ পাহারা দিতে যাননি। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। তিন দিন পর ফেসবুকে লাশের ছবি দেখে থানায় গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, গত সোমবার লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের সঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে। এ বিষয়ে বুড়িচং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।