রাজশাহীতে ঈদফেরত যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের দায়ে তিনটি পরিবহন কোম্পানিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী বিআরটিএর পক্ষ থেকে নগরের শিরোইল এলাকায় ঢাকা বাস টার্মিনালে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে সেনাবাহিনী। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেট আলপনা ইয়াসমিন।

দেশ ট্রাভেলস, গ্রামীণ ট্রাভেলস ও ন্যাশনাল ট্রাভেলসকে এই জরিমানা করা হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। কয়েকজন যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি সেনাবাহিনীকে অভিযোগ করার পর এ অভিযান চালানো হয়। যাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

আলপনা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনটি বাস কাউন্টারে এসি গাড়ির জন্য নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে। ঈদের আগে এসব পরিবহনের প্রতি আসনের ভাড়া ছিল ১ হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু ঈদের পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা।

তবে দেশ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, সারা বছর ছাড় দিয়ে ১ হাজার ১০০ টাকায় যাত্রী পরিবহন করা হয়। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে তাঁরা সেই ছাড়টি উঠিয়ে দিয়েছেন। তাই ভাড়া হয়েছে ১ হাজার ৭০০ টাকা। এর জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ভাড়া নির্ধারণী বৈঠকের সময় এই কথা বলেননি পরিবহন নেতা ও মালিকেরা।

এর আগে গত বুধবারে হিমাচল ট্রাভেলস ও হানিফ ট্রাভেলস নন এসি বাসেও ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছিল। ওই দুটি বাসকেও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র ভ লস পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ