লন্ডনে ইউনূস-তারেকের আলোচনায় বিএনপিরই কি জিত
Published: 13th, June 2025 GMT
কী বলা যেতে পারে এটাকে? উইন উইন পরিস্থিতি? দুই পক্ষেরই কিছুটা ছাড়? না আগের ভুলের সংশোধন?
বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বের মধ্যে নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে আসছিল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বশেষ বৈঠকেও দু–একটি ছাড়া সবাই ডিসেম্বর–জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছিল।
কিন্তু ঈদুল আজহার আগে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বললেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন নির্বাচন হবে।
নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যেও বিভক্তি ছিল বলে জানা যায়। এক পক্ষ চাইছিল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করাই শ্রেয় হবে। অন্য পক্ষের অভিমত ছিল, রাজনৈতিক দলের দাবি যা–ই হোক না কেন, এপ্রিলের আগে নির্বাচন করা ঠিক হবে না। সে সময়ে প্রধান উপদেষ্টা দ্বিতীয় পক্ষের কথা মেনে নিলেন।
কিন্তু সেই ঘোষণা সমস্যার সমাধান না করে আরও জটিল করে তুলল। বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। রাজনৈতিক অঙ্গনে ডিসেম্বর–এপ্রিলের দ্বৈরথ চলতে থাকে। এ অবস্থায় সরকার একটি সম্মানজনক আপসরফা চেয়েছিল, যার প্রতিফলন ঘটল লন্ডন বৈঠকে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এপ্রিলের ঘোষণায় যারা সম্মতি জানিয়েছিল, তারা কি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে একমত হবেন কী না?
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মনে করেন, ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।’
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার আগ্রহেই এই বৈঠক হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, তারেক রহমানই এখন দল চালাচ্ছেন, রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললেই ভালো হয়।
বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকার—উভয়ের শুভানুধ্যায়ীরাও চেয়েছিলেন বৈঠকটি হোক। বৈঠকের আগের দিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিক, তিনি যেকোনো সময় বাংলাদেশে আসতে পারেন। গত ১০ মাসে তাঁর দেশে ফেরা নিয়ে কোনো উপদেস্টা প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।
সবচেয়ে ভালো হতো যদি লন্ডন বৈঠক ছাড়াই জট খোলা যেত। কিন্তু সেটা যায়নি। বাংলাদেশে স্বাভাবিক ও সহজ পথে কিছু হয় না। অনেকেই প্রশ্ন করবেন, যে সিদ্ধান্তের জন্য সরকারপ্রধানকে লন্ডন যেতে হলো, সেই সিদ্ধান্ত ঢাকায় নেওয়া গেল না কেন? যৌক্তিক প্রশ্ন।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটা) বৈঠকটি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটা) বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন।
বৈঠকের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টাই কথা শুরু করলেন আবহাওয়ার সুসংবাদ দিয়ে। তিনি বললেন, ‘আজ আবহাওয়াটা খুব ভালো।’ তারেক রহমান তাঁকে সমর্থন করলেন।
তাঁদের কথোপকথন ছিল অনেকটা এ রকম:
ইউনূস: খুব ভালো লাগছে।
তারেক: আমারও ভীষণ ভালো লাগছে। আই ফিল অনার্ড।
ইউনূস: আসেন। চলুন বসি।
তারেক: আপনার শরীর কেমন? ভালো আছেন?
ইউনূস: এই যাচ্ছে। টেনে টেনে যাচ্ছে।
তারেক: আম্মা সালাম জানিয়েছেন আপনাকে।
ইউনূস: অসংখ্য ধন্যবাদ। ওয়ালাইকুমুস সালাম। ওনাকেও আমার সালাম দেবেন।
নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে মতৈক্যের বিষয়টিই সরকার তথা প্রধান উপদেষ্টার বড় সাফল্য বলে মনে করি।
তবে এ ধরনের বৈঠক হয় সাধারণত দুটি পক্ষের মধ্যে। এখানে তো অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পক্ষ হওয়ার কথা ছিল না। চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল ও সংগঠনের সম্মতি ও সমর্থন নিয়েই মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছিল। কিন্তু তারা সব সময় নিরপেক্ষ থাকতে পেরেছে বলে মনে হয় না। অনেক ক্ষেত্রে চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে এবারও কি বিএনপির চাপের কাছে সরকার নতিস্বীকার করল কি না সেই প্রশ্নও উঠবে।
সরকারপ্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যৌথ বিবৃতির পর নির্বাচনের দিণক্ষণসংক্রান্ত সমস্যা হয়তো কেটে যাবে। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশটি তৈরি করা সহজ হবে না। সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে, কোথাও সংঘাত সংঘর্ষ হলে সেনা সদস্যদেরই হস্তক্ষেপ করতে হয়।সরকারের তিনটি অঙ্গীকার ছিল। সংস্কার, জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ের হত্যার বিচার ও নির্বাচন। সরকারের গঠন করা সংস্কার কমিশনগুলো ইতিমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আর সব কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব বা সুপারিশ বাস্তবায়নের সঙ্গে সংবিধান বা নির্বাচনেরও সম্পর্ক নেই। সরকার নির্বাহী আদেশে অনেক সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারে। কিন্তু দু–একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সরকার কোনোটিতে হাত দেয়নি।
বিচারপ্রক্রিয়াও এগিয়ে চলেছে বলে সরকারের উপদেষ্টারা জানিয়েছেন। এই বিচার নিয়েও কেউ আপত্তি করেননি। তবে বিচারটি কবে শেষ হবে, সেটা নির্ভর করে আদালতের ওপর। এখানে সরকার বলে দিতে পারে না, অমুক তারিখে অমুক মামলার কাজ শেষ করতে হবে।
তৃতীয়টি হলো নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রে উত্তরণের কোনো বিকল্প উপায় আছে বলে আমাদের জানা নেই। নির্বাচন দুই মাস পর হলে সব সংস্কার বা বিচারকাজ শেষ হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু এপ্রিলে নির্বাচন করার সমস্যাগুলো প্রায় সব দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সরকারপ্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যৌথ বিবৃতির পর নির্বাচনের দিণক্ষণসংক্রান্ত সমস্যা হয়তো কেটে যাবে। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশটি তৈরি করা সহজ হবে না। সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে, কোথাও সংঘাত সংঘর্ষ হলে সেনা সদস্যদেরই হস্তক্ষেপ করতে হয়।
বৃহস্পতিবার যে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় পাতাবুনিয়া বটতলা বাজারে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে অবরুদ্ধ হন, তাঁকে উদ্ধার করতে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় আয়োজিত এক স্মরণসভায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে অবরুদ্ধ হন নুরুল হক। এ সময় পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনের অনুসারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর পথ রোধ করেন, দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা হাসান মামুন প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল হক নূর এলাকায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। কেউ উসকানিমূলক বক্তব্য দিলেই তাঁকে মারধর কিংবা অবরুদ্ধ করতে হবে, এটা কোন আইনে লেখা আছে। তাঁরা কেন আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন?
বিএনপি বেশ কয়েকটি আসনে মিত্র দলের নেতাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য স্থানীয় নেতাদের কাছে চিঠি দিয়েছিল। অন্যান্য আসনেও কমবেশি একই রকম সমস্যা আছে।
নির্বাচনের দিনতারিখ ঠিক হওয়ার পর বল পুরোপুরি রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে চলে যাবে। তখনো যদি তারা জবরদস্তি পরিহার করতে না পারে, তাহলে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন দূরের কথা, মোটামুটি সুষ্ঠু নির্বাচন করাও দুরূহ হবে।
সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি
*মতামত লেখকের নিজস্ব
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন উপদ ষ ট র সরক র র ব এনপ র র আগ র সদস য সমস য ইউন স প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা গ্রেপ্তার
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম ওরফে অপুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে জানে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
আরও পড়ুনচাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাসহ আটক ৫২৬ জুলাই ২০২৫মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় জানে আলম জড়িত।
গত ১৭ জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেন আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদসহ কয়েকজন। তাঁরা শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সিদ্দিক আবু জাফর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দেন। গত শনিবার রাতে চাঁদার বাকি টাকা আনতে যান তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে রাজ্জাকসহ পাঁচজন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বাকি চারজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন। ঘটনাটিতে গুলশান থানায় মামলা করেছেন সিদ্দিক আবু জাফর। মামলার এজাহারে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের বাইরে অপু নামের একজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আর প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় আরেকজনকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুনপ্রথমে পুলিশ নিয়ে বাসায়, পরে হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা ২৮ জুলাই ২০২৫রাজ্জাক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় জানে আলম ও আবদুর রাজ্জাক উভয়কে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে।
পুলিশ জানায়, শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার পর রাজ্জাকসহ কয়েকজন তা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। নিজের ভাগের পাঁচ লাখ টাকা রাজ্জাক তাঁর বাড্ডার ভাড়া বাসায় (মেস বাসা) রাখেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুনচাঁদাবাজির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ জন ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ২ জন বহিষ্কার২৬ জুলাই ২০২৫এর আগে গত বুধবার ডিএমপির এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজ্জাকের একটি ভাড়া বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার ৪টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। এটি বাসাটি পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় অবস্থিত বলে গতকাল জানায় গুলশান থানা–পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এই সোয়া দুই কোটি টাকার চেক নেওয়া হয় রংপুর-৬ আসনের (পীরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ট্রেড জোন’ থেকে।
আরও পড়ুনসমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি: আবদুর রাজ্জাকসহ চারজন সাত দিনের রিমান্ডে২৭ জুলাই ২০২৫