Samakal:
2025-11-03@19:58:59 GMT

আরও ৩৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

Published: 13th, June 2025 GMT

আরও ৩৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার ও নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ আরও ৩৭ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তাদের সবাইকেই বিজিবি আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। আটকরা সবাই নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। বিভিন্ন সময় কাজের জন্য অবৈধভাবে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে গত ৪০ দিনে ১ হাজার ৪৩৫ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিল বিএসএফ। 

শুক্রবার ভোরে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার অচিন্তপুর সীমান্তের ২৯৫ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে একই পরিবারের ১৪ জনসহ ১৫ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন। আটকদের মধ্যে ৯ শিশু ও ৩ নারী রয়েছেন। 

বিজিবি জানায়, আটকরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। সবার দাবি, তারা নড়াইল জেলার কালিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর তারা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে কাজের জন্য মুম্বাই যান। তাদের বিরামপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

একই দিন ভোরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। বিজিবির নিউ পাল্লাথল বিওপির টহল দল তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। আটকদের মধ্যে তিন নারী ও ছয় শিশু রয়েছে। বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ জানান, আটকদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

পঞ্চগড়ের গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে গতকাল ভোরে নারী, শিশুসহ সাতজনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এর মধ্যে তিন নারী, দুই পুরুষ ও দু’জন শিশু। সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৩-এর ১ নম্বর সাব-পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অমরখানা ক্যাম্পের টহল দল। জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা নিজেদের বাংলাদেশি দাবি করেন। সবার দাবি, তারা নড়াইল ও যশোর এলাকার বাসিন্দা। এর আগেও চার দফায় নারী, শিশুসহ ৬০ জনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ।

এ ছাড়া নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে আছিয়া বেগম (৫০) নামে এক নারীকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল দুপুরে উপজেলার জগদ্দল মাঠের মধ্যে থেকে তাঁকে বিজিবি আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। ওই নারী ১০ বছর ধরে ভারতের মুম্বাইতে একটি হাসপাতালে আয়ার কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি যশোর জেলার ইশবপুর নামক এলাকায়। 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার মুন্সিপাড়া বিওপি কড়ইগড়া সীমান্ত দিয়ে দুই শিশুসহ ৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। তাদের মধ্যে আটজনের বাড়ি বাগেরহাট এবং একজনের ধোবাউড়ায়। তারা সবাই আট বছর ধরে ভারতের চেন্নাইয়ের বিভিন্ন স্থানে কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন। 

বিজিবি জানায়, চেন্নাই পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এই ৯ জন দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের মেঘালয়ের শীবগঞ্জ পুলিশ তাদের আটক করে। 
 

(সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি ও সংবাদদাতার পাঠানো খবর)


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শইন ব এসএফ ব এসএফ শ শ সহ

এছাড়াও পড়ুন:

পা পিছলে ট্রেনের নিচে, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও পরে মৃত্যু

গাজীপুরের শ্রীপুরে পা পিছলে চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে আহত হন এক ব্যক্তি। অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত মারা গেছেন তিনি।

রবিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম জালাল উদ্দীন (৪৫)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআগলী ইউনিয়নের নিধিরচর গ্রামের তৈয়ব উদ্দীনের ছেলে।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

ঝালকাঠিতে ‘মদ পানে’ ব্যক্তির মৃত্যু 

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রাতে শ্রীপুর রেলস্টেশনে মোহনগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন একটি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। জালাল উদ্দীন দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গেলে অপর লাইনে থাকা দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ছেড়ে দেয়। এ সময় পা পিছলে ট্রেনের নিচে পড়ে যান তিনি। পুরো ট্রেনটি তার শরীরের ওপর দিয়ে গেলেও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জ্ঞান ফিরলে নিজের নাম ও ঠিকানা বলেন জালাল উদ্দীন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু, পথেই তার মৃত্যু হয়।

শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকার দোকানি মনির হোসেন বলেন, “দুটি ট্রেন একই সময় ছাড়ছিল। জালাল উদ্দীন সম্ভবত ভুল লাইনে দৌড়ে গিয়েছিলেন। চোখের পলকে তিনি ট্রেনের নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।”

চরআগলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম দুলু বলেন, ‘‘গত রাতেই জালাল উদ্দীনের মৃত্যু হয়। সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’’

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “গুরুতর আহতাবস্থায় রাত ৯টার দিকে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”

শ্রীপুর রেলস্টেশনের মাস্টার মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে এক ব্যক্তি আহত হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।’’

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে, পুরো বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।’’

ঢাকা/রফিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর
  • পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
  • পা পিছলে ট্রেনের নিচে, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও পরে মৃত্যু
  • মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • দেশজুড়ে বৃষ্টি ও তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
  • জুলাই সনদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে: মামুনুল হক
  • এনসিএল: তিন সেঞ্চুরি ও মিরপুরে উইকেটের মিছিল
  • রংপুরকে পেয়েই আবার নাঈমের সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি মাহফিজুল ও সাদিকুরেরও