যশোরের ঝিকরগাছায় পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ১০ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী। ওই দিন দুপুরে ফুফাতো ভাই তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশটি বাড়ির পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেন। পরে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে বলে নাটক সাজানো হয়। এ ঘটনায় ফুফাতো ভাই ও ফুফাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবি করে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তার বাবা-ছেলে ঝিকরগাছার একটি গ্রামের বাসিন্দা। নিহত শিশুটি পাশের গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।

পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফুফাতো ভাই পুলিশকে জানিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুরে ঘরের ভেতরে তাঁর বোন ঘুমাচ্ছিল। বাইরে ভুক্তভোগী শিশুটি দোলনায় দোল খাচ্ছিল। তাকে একা দেখে ফুফাতো ভাই জাপটে ধরে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। পরে গলা ও মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে মারা যায় শিশুটি। তখন বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তার লাশ ফেলে দেওয়া হয়। পরে বোনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বিষয়টি গোপন করতে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে নাটক সাজান।

এদিকে বাড়ির লোকজন শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তাঁর বাড়িতে খবর দেন। পরদিন সকালে ফুফু বাড়ির পশ্চিম পাশের ডোবায় লাশ দেখে চিৎকার করলে লোকজন ছুটে আসেন। পরে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে শিশুটির বাবা ঘটনাস্থলে যান এবং মেয়ের ঠোঁটে জখমের চিহ্ন দেখতে পারেন। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, গ্রেপ্তার তরুণ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। গত বুধবার ওই তরুণ ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ