ছয় ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫৩ জনের মৃত্যু, রেলের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন
Published: 14th, June 2025 GMT
ছয় বছরে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ছয়টি বড় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে অন্তত ৫৩ জনের। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। এসব ঘটনায় রেলওয়ের তদন্ত কমিটি প্রতিবারই দায় চাপিয়েছে ট্রেনচালক, সহকারী চালক, গার্ড ও গেটম্যানদের ওপর। তবে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, ট্রেন পরিচালনার নিচের সারির কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অবহেলার কোনো জবাবদিহি হচ্ছে না।
সর্বশেষ ৫ জুন রাতে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা সাতটি গাড়িতে ধাক্কা দেয় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস। এতে অটোরিকশাচালক তৌহিদুল ইসলাম ও দুই বছরের শিশু মেহেরিমা নূরের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ১৬ জন।
রেলওয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত দল গঠন করলেও এসব তদন্তে উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবহেলার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়। তাই সরকারি-বেসরকারি সংস্থার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করে ট্রেন দুর্ঘটনার মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে। মো.সামছুল হক, পরিবহনবিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক, পুরকৌশল বিভাগ, বুয়েট
রেলওয়ের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ট্রেনটি সেতুতে ওঠার নিয়ম না মেনে সংকেত অমান্য করে দ্রুতগতিতে ঢুকে পড়ে। এ ঘটনায় পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার গোলাম রসুল, সহকারী লোকোমাস্টার আমিন উল্লাহ, গার্ড সোহেল রানা ও অস্থায়ী গেটকিপার মাহবুবকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ট্রেন পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত। একটি অঞ্চল যমুনা নদীর পূর্ব পাশে, যা পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে (ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট-ময়মনসিংহ বিভাগ) হিসেবে পরিচিত। আর যমুনা নদীর পশ্চিম পাশ নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে গঠিত (রাজশাহী-রংপুর-খুলনা বিভাগ)।
সাজ্জাদুন নূরের কোলে তাঁর শিশুসন্তান আয়েশা এবং পাশে স্ত্রী জুবাইয়া ইসরা। ৫ জুন চট্টগ্রামের কালুরঘাটে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় আয়েশাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট র ন দ র ঘটন র লওয় ঘটন য় তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার নাম ফারজানা ইয়াসমিন (৪৫)। তিনি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। এ ঘটনায় এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২ জন।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আইসিইউতে ছিল ৩ জন। তবে তাদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মোট ৩২ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ৩ জন ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে আর তাদের চেয়ে কম গুরুতর ৭ জন রয়েছে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ও কেবিনে ভর্তি রয়েছে। গত তিন দিনে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।”
আরো পড়ুন:
সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’
মাদ্রাসার মাঠ দখল করে ইউপি সদস্যের বীজতলা
ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “৩২ জনের ১৪ জন শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বাকিরা স্টেবল রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত সব রোগীর একাধিকবারসহ সব মিলিয়ে ১৫৮টি ছোট-বড় অপারেশন করা হয়েছে।”
বার্ন ইনস্টিটিউটে আর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রতিদিনের আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
ঢাকা/সাইফ