শিল্পী-নির্মাতাকে না জানিয়ে নাটক রিলিজ, নিলয়ের ক্ষোভ
Published: 14th, June 2025 GMT
নাটক কিংবা সিনেমার প্রচার নিয়ে নির্মাতা, প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এবার ঈদের একটি নাটকের প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেতা নিলয় আলমগীর। নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীদের না জানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে ‘আপন পর’ নামের একটি নাটক।
ঈদের তৃতীয় দিন দীপ্ত টিভিতে প্রচারের পর শুক্রবার দীপ্ত নাটক ইউটিউব চ্যানেলে কোনো রকম প্রচার ছাড়াই প্রকাশ পেয়েছে নাটক ‘আপন পর’। ইউটিউবে নাটক প্রচারে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নির্মাতা রাখি ও অভিনেতা নিলয় জানান, নাটকটি রিলিজের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
ফেসবুকে নিলয় আলমগীর লিখেছেন, ‘দীপ্ত টিভির ইউটিউব চ্যানেলে আমার একটি নাটক রিলিজ হয়েছে আজকে (গতকাল)। কিন্তু রিলিজের ব্যাপারে আমরা কোনো আর্টিস্ট জানি না, পরিচালক নিজেও জানেন না। হয়তো এই নাটকের প্রযোজক আলী বশির সাহেব জানেন।’
নিলয় লিখেছেন, ‘যেহেতু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রিলিজ হয়েছে, তাহলে নিশ্চয়ই কিছু প্রচার-প্রচারণার দরকার আছে। কিন্তু দীপ্ত টিভির হয়তো সেটির দরকার নেই।’
এ বিষয়ে দীপ্ত টিভির ডিজিটাল ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার দিকে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেতা।
নিলয় আলমগীরের পোস্ট শেয়ার করে নির্মাতা হাসিব হোসেন রাখি লিখেছেন, ‘একটা নাটক আপলোড করার আগে নাটকের ডিরেক্টর, আর্টিস্টদের সঙ্গে কথা বলা উচিত।’
‘আপন পর’ নাটকে নিলয় আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানিয়া বৃষ্টি। আরও আছেন আশরাফুল আলম সোহাগ, হানিফ পালোয়ান, শর্মী প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টক র
এছাড়াও পড়ুন:
আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি
খুলনা মহানগরীর লবণচরার বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বিদ্যুৎ (২৪) হত্যা মামলার বিচার কাজ এক যুগ অতিবাহিত হলেও এখনো শেষ হয়নি। মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে আসামিরা জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন নিহতের পরিবারকে। তাদের বিরুদ্ধে বাদীর অপর ছেলেকে হত্যার ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।
এ অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা এবং আসামিদের অপতৎপরতা থেকে রক্ষা করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন নিহত বিদ্যুতের মা জাহানারা বেগম। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ ও সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরো পড়ুন:
কেএমপির ৮ থানার ওসি রদবদল
জলবায়ু পরিবর্তন আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: ইইউ রাষ্ট্রদূত
লিখিত বক্তব্যে জাহানারা বেগম বলেন, “২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ছেলে মো. আলমগীর হোসেন ওরফে বিদ্যুৎকে (২৪) নগরীর খানজাহান আলী (র.) সেতু এলাকায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর ৭ ডিসেম্বর আমি বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা করি (মামল নং- ০৩)। মামলাটি বর্তমানে খুলনা মহানগর দায়রা জজ (মামলা নং: ৪৪৯/১৫) বিচারাধীন আছে।”
“মামলায় লবণচরা বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার নাজিম খলিফার দুই ছেলে আরমান খলিফা ও আরিফ খলিফা, লবণচরা মোহাম্মদীয়া পাড়া মসজিদ এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার, লবণচরা ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা রোড এলাকার হামিদ মিস্ত্রীর ছেলে মো. সিরাজ এবং লবণচরা মোক্তার হোসেন রোড এলাকার হযরত আলী ফকিরের ছেলে বাদল ফকিরকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামিরা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এই সব আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় বিভিন্ন মামলাও রয়েছে”, যোগ করেন তিনি।
জাহানারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার কলিজার টুকরো সন্তানকে হত্যা করেও সন্ত্রাসীরা ক্ষ্যান্ত হয়নি। উপরন্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা এখন মামলা তুলে নিতে আমি ও আমার এক মাত্র সন্তান এবং মামলার স্বাক্ষীদের জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার সাধারণ ডায়রি (জিডি) করার ফলে হত্যাকারী-সন্ত্রাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় তারা আমি ও আমার বড় ছেলেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, “হত্যাকারী-আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এখন পর্যন্ত খুলনা ও লবণচরা থানায় চারটি সাধারণ ডায়রি করেছি। সর্বশেষ গত ৩ মার্চও আমি লবণচরা থানায় জিডি করি। কারণ ২ মার্চ দুপুরে মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি আরমান তার ভাই আরিফ এবং অপর আসামি জুয়েল শেখ, হারুন হাওলাদার, সিরাজ ও বাদল ফকিরসহ আরো অনেকে আমার বাসার সামনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি তারা আমাকে ও আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বিপ্লবকেও হত্যা করবেন বলেও হুমকি দেয়। এ ছাড়া, একই ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে আমি ২০১৪ সালের ৪ মার্চ ও ২ মে খুলনা থানায় এবং একই বছরের ৪ মে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লবণচরা থানায় সাধারণ ডায়রি করি।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ