চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত আড়াইটার দিকে ওই তরুণের মৃত্যু হয়।
নিহত তরুণের নাম-পরিচয় পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি। আহত অবস্থায় রাতে ওই তরুণকে প্রথমে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার রাশেদুল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী পর্যটক এক্সপ্রেস রাত ১০টার দিকে পটিয়া স্টেশন অতিক্রম করছিল। এ সময় রেললাইনের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছিলেন ওই তরুণ। ট্রেনের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। স্টেশন মাস্টার রাশেদুল আলম আরও বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন নিহত ব্যক্তির বাড়ি কুমিল্লায়। কর্মসূত্রে তিনি পটিয়ায় থাকতেন। তাঁর নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু তৈয়ব বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় ওই তরুণের মাথায় ও মুখে আঘাত লেগেছিল। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে রেলওয়ে পুলিশ ও পটিয়া থানা-পুলিশের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ বড়ুয়া আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত তরুণের ঠিকানা এবং কোনো অভিভাবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলাসহ আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’