ঈদ শেষে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা-যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবার যাত্রীদের ভিড় ছিল কম।

শনিবার সকালে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মজীবী শত শত মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ফেরি ও লঞ্চে গাদাগাদি করে নদী পারি দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন। যাত্রীরা পাটুরিয়া ঘাটে এসে ঢাকায় যাওয়ার বাস না পেয়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে জনপ্রতি দেড়শ'-দুইশ' টাকা করে ভাড়া বেশি দিয়ে গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

এদিকে কয়েকজন বাসচালক বলেন, ‘মালিক সমিতির নামে নীলাচল পরিবহনের পাটুরিয়া ঘাট সুপারভাইজার জসিম খান, বাবু শেখ, শিপন খান, সেলফি বাসের সুলতান আহম্মেদ, শুভ যাত্রার তুহিনের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন যুবক প্রতিটি বাস থেকে ৩০০-৪০০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছেন।’ এ ব্যাপারে সুলতান আহম্মেদ ও জসিম খান বলেন, ‘বাস ষ্টাফদের খরচ বাবদ কিছু চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।’

আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম আব্দুস ছালাম বলেন, ‘সকাল থেকেই ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের পাটুরিয়া ও অরিচা ঘাটে উপচে পড়া ভিড় পড়েছে।’ ওসি মো.

কামাল হোসেন বলেন, ‘যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর চ

এছাড়াও পড়ুন:

অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা

আজ শ্রাবণের ১৬ তারিখ। প্রকৃতির নিয়মে এ মাসে বৃষ্টি বেশি ঝরে। আজও ঢাকার আকাশ মেঘলা। বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও ঝুম বৃষ্টি কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। তবে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রয়েছে ভূমিধসের ঝুঁকি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতিভারী বৃষ্টির কারণে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াসহ বাস, রিকশা ও সাধারণ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

শনিবারও সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ এলাকায় এবং অন্যান্য বিভাগে অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

রবিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বর্ধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার ৬৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ