একটা ট্রফি। আবার শিল্ডও দেওয়া হয়। আজ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার হাতে অবশ্য ট্রফি বা শিল্ড দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে একটি গদা। সোজা বাংলায় বললে ‘মুগুর’। ইংরেজিতে ‘মেস’ নামে পরিচিত এই গদার এক প্রান্তে ভারী মাথা থাকে। বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহে যা অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহারের ইতিহাস আছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক বাভুমা অবশ্য গদাটি হাতে পাওয়ার পর উদ্‌যাপন করেছেন একটু ভিন্নভাবে। দুই হাতের তালুতে নিয়ে ওপরে–নিচে তো করেছেনই, উদ্‌যাপনের একপর্যায়ে তা দিয়ে বন্দুকের মতো করে গুলিও করতে চাইলেন তিনি। যেন অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে শত্রুকে খতম করতে চাইছেন। কিন্তু জিনিসটা আসলে কী, কীভাবে তৈরি হয়েছে আর কী আছে ভেতরে—এমন কৌতূহল আছে অনেকেরই।

কারা বানায় এমন ট্রফি

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু এই ট্রফি আরও অনেক পুরোনো। বিশ্বখ্যাত ট্রফি তৈরির প্রতিষ্ঠান থমাস লেটের ডিজাইনার ট্রেভর ব্রাউন ২০০০ সালে প্রথম এটি তৈরি করেন। ২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে যে ট্রফিটি দেওয়া হয়, তা–ও প্রতিষ্ঠানটির লন্ডন ওয়ার্কশপে তৈরি করা হয়।

এমন ট্রফি তৈরির ভাবনা আসে মূলত রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের পর এক ক্রিকেটারকে স্টাম্প তুলে উদ্‌যাপন করতে দেখে। তখনই ডিজাইনার ব্রাউনের মাথায় আসে, এমন কিছুর ওপর ভিত্তি করে ট্রফিটি তৈরি করলে তা আলাদা কিছু হতে পারে।

এই ট্রফিটি দেওয়ার প্রচলনও অবশ্য আগে থেকেই ছিল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে তা দেওয়া হতো বার্ষিক টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা দলকে। এখন তা-ই পেয়ে থাকেন চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জেতা দলের অধিনায়ক।

সন্তানকে নিয়েও উদযাপন করেছেন বাভুমা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট স ট চ য ম প য়নশ প

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ