ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে ওয়ালটনকর্মীর মৃত্যু
Published: 15th, June 2025 GMT
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে নুর হোসাইন (৪২) ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনে কর্মরত ছিলেন।
শনিবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘চ’ বগি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নুর হোসাইন কুমিল্লার সদর দক্ষিণের কাকসার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকার ওয়ালটন সার্ভিস পয়েন্টে কর্মরত ছিলেন। পরিবারে বাবা-মাসহ স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে তার।
ফেনী রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কেল থেকে ফেনী রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয় যে, চট্টলা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী ট্রেনে বুকে ব্যাথা অনুভব করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ফেনী স্টেশনে অবস্থান নেয়। ট্রেনটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেনী পৌঁছালে তাকে অচেতন অবস্থায় নামিয়ে স্বেচ্ছাসেবী ও পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নুর হোসাইনের বাবা অহিদুর রহমান বলেন, ‘‘বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সে বাড়ি থেকে রওনা দেয়। সন্ধ্যায় ট্রেনে ওঠে। পরে এক সহযাত্রী ফোনে জানায়, ছেলের অবস্থা খারাপ। তখনই বলি, যেন ফেনীতে সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর আমরা রওনা দিই। মাঝপথেই খবর আসে, সে আর বেঁচে নেই।’’
কুইক রেসপন্স ফেনী টিমের সদস্য জয় জানান, ফেনী মডেল থানা পুলিশের নির্দেশে তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নুর হোসাইনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল ধারণা করেন জয়।
ওয়ালটনের ফেনী সার্ভিস পয়েন্টের কর্মী মো.
ফেনী রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘‘গুণবতী এলাকায় পৌঁছানোর পর নুর হোসাইন বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং সম্ভবত সেখানেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য নুর হোসাইনের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’’
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র হ স ইন র লওয় অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে ওয়ালটনকর্মীর মৃত্যু
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে নুর হোসাইন (৪২) ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনে কর্মরত ছিলেন।
শনিবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘চ’ বগি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নুর হোসাইন কুমিল্লার সদর দক্ষিণের কাকসার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকার ওয়ালটন সার্ভিস পয়েন্টে কর্মরত ছিলেন। পরিবারে বাবা-মাসহ স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে তার।
ফেনী রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কেল থেকে ফেনী রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয় যে, চট্টলা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী ট্রেনে বুকে ব্যাথা অনুভব করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ফেনী স্টেশনে অবস্থান নেয়। ট্রেনটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেনী পৌঁছালে তাকে অচেতন অবস্থায় নামিয়ে স্বেচ্ছাসেবী ও পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নুর হোসাইনের বাবা অহিদুর রহমান বলেন, ‘‘বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সে বাড়ি থেকে রওনা দেয়। সন্ধ্যায় ট্রেনে ওঠে। পরে এক সহযাত্রী ফোনে জানায়, ছেলের অবস্থা খারাপ। তখনই বলি, যেন ফেনীতে সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর আমরা রওনা দিই। মাঝপথেই খবর আসে, সে আর বেঁচে নেই।’’
কুইক রেসপন্স ফেনী টিমের সদস্য জয় জানান, ফেনী মডেল থানা পুলিশের নির্দেশে তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নুর হোসাইনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল ধারণা করেন জয়।
ওয়ালটনের ফেনী সার্ভিস পয়েন্টের কর্মী মো. আবু সাইম বলেন, ‘‘আমরা গ্রুপে খবর পেয়েই ছুটে যাই স্টেশনে। সহকর্মীর এমন মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত ও শোকাহত।’’
ফেনী রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘‘গুণবতী এলাকায় পৌঁছানোর পর নুর হোসাইন বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং সম্ভবত সেখানেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য নুর হোসাইনের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’’
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস