এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী পলাতক
Published: 15th, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী পলাতক।
আজ রোববার বিকেলে ওই কিশোরীর বাবা শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের একটি কারখানার পাশের এটিএম বুথের ভেতর এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মো.                
      
				
কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, তিনি টাকা তোলার জন্য ওই এটিএম বুথে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর মেয়ে একটি স্পিনিং কারখানায় স্বল্প বেতনের চাকরি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে লিটন অন্য কারখানায় ভালো বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আশ্বাস পেয়ে রোববার তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে ওই বুথে যান।
ওই কিশোরীর বাবা আরও বলেন, বুথে যাওয়ার পর লিটন মিয়া তাঁর মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। অন্য একটি কারখানার এক কর্মকর্তা কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসবেন বলে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে লিটন মিয়া ওই কিশোরীকে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন এবং তাঁর বাবাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। কিশোরীর বাবা সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর খবর নিতে এসে দেখেন তাঁর মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বুথের ভেতর থেকে বের হচ্ছে। পরে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে গেলে ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে জানায়।
পলাতক থাকায় এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ আবদুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই নিরাপত্তাকর্মী পলাতক আছেন। তাঁকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল টন ম য়
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার এক কিশোর ১২ দিন পর মারা গেছে। নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে সে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২০ আগস্ট রাত আটটার দিকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রিপনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। প্রচণ্ড মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব গত ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনেরা তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের অন্ধকারে মাঠের মধ্যে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়।
সেসময় কিছু ব্যক্তিও পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করে। এরপর তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।
একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। এরপর লাঠি দিয়ে শিহাবকে আরো পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রেমিকার আত্মীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুত্বর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
শিহাবকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন গত ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিম (৩২) নামের নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় আগে করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/কেয়া/এস