Samakal:
2025-06-17@01:17:44 GMT

বাড়তি করের চাপে পোলট্রি শিল্প

Published: 16th, June 2025 GMT

বাড়তি করের চাপে পোলট্রি শিল্প

অতিমারি করোনার যে চোট পোলট্রি খাতে লেগেছিল, তা সারাতে পারেননি উদ্যোক্তারা। এরপর একের পর এক বেড়েছে পোলট্রি উপকরণের দাম। খুঁড়িয়ে চলা খাতটির এ অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেটে পোলট্রি শিল্পের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ খাতের প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। অপরদিকে করপোরেট কর ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, এ খাতের ওপর বাড়তি করের কারণে সস্তা ও সহজলভ্য প্রোটিনের উৎস হিসেবে পরিচিত ব্রয়লার মুরগির ডিম ও মাংসের দাম বেড়ে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত তা  ভোক্তার ওপর চাপ তৈরি করবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজনে তারা টার্নওভার কর কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ এবং করপোরেট কর ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ফিআব) সভাপতি এবং বিপিআইসিসির আহ্বায়ক শামসুল আরেফিন খালেদ সমকালকে বলেন, টার্নওভার কর  বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে, যা আধুনিকায়ন ও খরচ কমানোর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে। যেখানে পোলট্রি উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ শতাংশ লাভে পণ্য বিক্রি করেন, সেখানে এত বেশি হার আরোপ কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানিগুলোর মোট করের পরিমাণ ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাঁড়াবে, যা ব্যবসায় টিকে থাকা কঠিন করে তুলবে। এতে উদ্যোক্তারা ঝুঁকির মুখে পড়বেন এবং সাশ্রয়ী দামে ডিম ও মাংস বাজারে সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তারা সরকারের কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছেন।

ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বাংলাদেশ) সভাপতি মসিউর রহমান সমকালকে বলেন, ‘মাংস ও ডিমের দাম দীর্ঘমেয়াদে সহনীয় রাখতে আমরা কাজ করছি। অথচ আমরা যখন এ খাতের আধুনিকায়নের জন্য মেশিনারিজ আনছি, তখন আমাদের ব্যাপকহারে আমদানি শুল্ক দিতে হচ্ছে। এখন আমাদের করপোরেট কর প্রায় দ্বিগুণ করা হলো। আমরা দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করমুক্ত খাত হিসেবে পোলট্রি খাতকে করমুক্ত রাখার দাবি করছি। কারণ আমরা নিম্ন আয়ের মানুষের পুষ্টির জন্য ডিম ও মাংসের ভোগ বাড়াতে চাইছি।’ 
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সহসভাপতি এহতেশাম বি শাহজাহান বলেন, মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় মুরগি এখন সবচেয়ে সাশ্রয়ী প্রোটিনের উৎস। অথচ দেশের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ লেয়ার খামার ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন উৎপাদন বাড়ানোর পথে না গিয়ে বরং চাপে রাখা হলে, ফল ভোক্তার ওপরই পড়বে। প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। অথচ ২০১৫ সাল থেকে ১৫ শতাংশ ছিল। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত কর ছিল। 

ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন, কর আদায়ে আগে থেকেই এক ধরনের জটিলতা রয়েছে। কোম্পানির লাভ থেকে কর নেওয়ার কথা। যেখানে লোকসান হচ্ছে, সেখানে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। টার্গেট করে এ খাত থেকে রেভিনিউ বাড়ানোর চিন্তা করা হলে একটা সংকট তৈরি হবে।
উদ্যোক্তারা আরও জানিয়েছেন, ফিড উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে বর্তমানে ভুট্টায় ২ শতাংশ এবং সয়াবিন মিলে ৫ শতাংশ পর্যন্ত আগাম কর নেওয়া হচ্ছে। আগাম কর ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও জটিলতার কারণে তা আটকে থাকে। আগাম কর কমিয়ে আনার জন্য তারা দাবি জানিয়ে আসছেন। 
উদ্যোক্তারা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, পোলট্রি খাত দেশের খাদ্য নিরাপত্তার অন্যতম স্তম্ভ। এই খাত চাপে পড়লে জনগণের প্রোটিন গ্রহণের সক্ষমতা কমে যাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য খাতে আরও খরচ বাড়বে। তাই বাজেটে পোলট্রি খাতের জন্য করনীতি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: করপ র ট কর র জন য দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ