কক্সবাজারের টেকনাফে যাত্রীবাহী একটি বাস থামিয়ে পরিবহনের এক কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আলিখালী এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাস থামিয়ে এই কর্মীকে অপহরণ করে পশ্চিমের পাহাড়ে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী।

অপহৃত সালমান খান (২৭) একই ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি সেন্টমার্টিন পরিবহনে টিকেট কাউন্টারে দায়িত্ব পালন করেন।

হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, টেকনাফ থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা দেওয়া সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাসযোগে সালমান হ্নীলায় আসছিল। আলীখালি রাস্তার মাথা থেকে বাসটি থামিয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে ধরে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে তার বাবাকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের টেকনাফ থানায় পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি তদন্ত হিমেল রায় বলেন, অপহরণের বিষয়টি এখনও কেউ অবহিত করেনি। তারপরও পুলিশ কাজ করছে।

এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত সাড়ে ১৭ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৫ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ ম ক ত পণ পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ করা হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। রবিবার (১৫ জুন) দুপুরের দিকে রঙ্গিখালীর গহীন অরণ্য থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযান চলাকালে জব্দ করা হয় দেশীয় অস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলি, র‌্যাবের পোশাক এবং একটি ওয়াকিটকি। এর আগে, সকালে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা সুমন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সুমন মুন্সির বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ডুমরাকান্দি গ্রামে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।

আরো পড়ুন:

দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ছিনতাই

র‍্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক আ.ম. ফারুক জানান, গত ১১ জুন রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে মো. রহিমুল্লাহর ছেলে হাফিজ উল্লাহকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যান সুমন, রাকিব ও শিকদার। অপহরণের কাজে তাদের সহযোগিতা করেন এনায়েত উল্লাহ ও নবী হোসেন নামে দুই ব্যক্তি। 

অপহরণকারীরা অজ্ঞাত স্থান থেকে অপহৃতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতকে হত্যার হুমকিও দেন তারা।

ঘটনার পরপরই র‍্যাব-১৫ গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান চালিয়ে প্রথমে রঙ্গিখালীর ডাকাত সর্দার শাহআলমের বাড়ি থেকে অপহরণকারী সন্দেহে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুরকে গ্রেপ্তার করে। আজ রবিবার সকালের দিকে মরিচা বাজার এলাকা থেকে মূল অপহরণকারী সুমন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরবর্তীতে র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ ও বনবিভাগের সমন্বয়ে মোট ২৫৬ সদস্যের যৌথ বাহিনী রঙ্গিখালীর গহীন অরণ্যে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। দীর্ঘ অভিযানে একপর্যায়ে আজ দুপুরের দিকে হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে উদ্ধার হয় একটি দেশীয় অস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলি, র‌্যাবের পোশাক এবং একটি ওয়াকিটকি।

র‌্যাব জানায়, পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপহরণের এক দিন পর ব্যবসায়ীকে বাড়ির বারান্দায় ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা
  • নির্যাতন করে চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ জমা দিলেন ছাত্রদল নেতা
  • কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, ইউপি চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ
  • কক্সবাজারে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, অপহরণ ৩
  • কক্সবাজারে অপহৃত রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ৩
  • র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার