অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতা মা হতে চলেছেন—বিয়ের এক বছরের মাথায় এ খবর নিজেই জানিয়েছিলেন। প্রথম সন্তানের আগমন ঘিরে দুই পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।

তবে এই মাতৃত্বের যাত্রায় স্বাগতা নিয়েছেন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত। দেশের চিকিৎসকরা যখন তাকে সিজারিয়ান ডেলিভারির পরামর্শ দেন, তখন তিনি নিজের বিশ্বাস ও ইচ্ছার জায়গা থেকে পাড়ি জমিয়েছেন থাইল্যান্ডে। গত দুই মাস ধরে থাইল্যান্ডে রয়েছেন তিনি, একটাই লক্ষ্য—নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়া।

স্বাগতা বলেন, “আমি একটা মিশন নিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছি। যদিও বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার বলেছে ‘তুমি ভুল করছো’, তারপরও আমি শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব যেন স্বাভাবিকভাবে আমার সন্তান পৃথিবীতে আসে।”

আরো পড়ুন:

‘মিমির মানবিক আচরণে চোখে পানি চলে এসেছিল’

দূরদেশে তারকাদের ঈদ

তিনি আরও জানান, “সিজারিয়ান অপারেশনের পর অনেক মায়েদের নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তাই আমি শুরু থেকেই নরমাল ডেলিভারির ব্যাপারে সচেতন। প্রথমে যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, সেখানে তা সম্ভব না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতাল বদল করেছি। এখন নতুন চিকিৎসকের অধীনে আছি এবং আশাবাদী।”

২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বাগতা বিয়ে করেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রেমিক হাসান আজাদকে। লন্ডন প্রবাসী হাসান একাধারে সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও মিউজিক কম্পোজার। পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্যের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে, পিএইচডি ডিগ্রিও সম্পন্ন করেছেন সেখান থেকে। বর্তমানে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।

দাম্পত্য জীবনের নতুন অধ্যায়ে এখন যুক্ত হচ্ছে মাতৃত্বের অভিজ্ঞাতা। আর এই যাত্রাকে স্বাগতা শুধু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, এক সচেতন ও সাহসী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক স ব গত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছর কারাদণ্ড

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার রাতে এ অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হয়। প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা নিলে এতে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানা বা নেওয়া আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে। এর আগে গত ১৫ মে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

অধ্যাদেশের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা যে কোনো শ্রেণির আহত জুলাইযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করে বা বিভ্রান্তিকর কাগজাদি দাখিল করে নিজেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাইযোদ্ধা দাবি করে কোনো চিকিৎসা সুবিধা বা আর্থিক সহায়তা বা পুনর্বাসন সুবিধা দাবি করেন বা গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা নেওয়া সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে।’

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণ, পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের মর্ম ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এটি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে– আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে, তাই সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন।’

পুনর্বাসনের বিষয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে শহীদ হয়েছেন এমন ব্যক্তির পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য এবং আহত জুলাইযোদ্ধাদের অনুকূলে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা বা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক উপার্জনমুখী কাজের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ বা এমন সুবিধাদি প্রদান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদান।

এরই মধ্যে গঠন করা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ এ অধ্যাদেশের অধীনে আনা হয়েছে। জুলাই শহীদ ও আহতদের তালিকাও এই অধ্যাদেশের অধীনে প্রকাশ করা হয়েছে বলে ধরা হবে। অধ্যাদেশে আহতদের তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের যথাক্রমে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ‘জুলাইযোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ