নরমাল ডেলিভারির ‘মিশন’ নিয়ে থাইল্যান্ডে স্বাগতা
Published: 17th, June 2025 GMT
অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতা মা হতে চলেছেন—বিয়ের এক বছরের মাথায় এ খবর নিজেই জানিয়েছিলেন। প্রথম সন্তানের আগমন ঘিরে দুই পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।
তবে এই মাতৃত্বের যাত্রায় স্বাগতা নিয়েছেন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত। দেশের চিকিৎসকরা যখন তাকে সিজারিয়ান ডেলিভারির পরামর্শ দেন, তখন তিনি নিজের বিশ্বাস ও ইচ্ছার জায়গা থেকে পাড়ি জমিয়েছেন থাইল্যান্ডে। গত দুই মাস ধরে থাইল্যান্ডে রয়েছেন তিনি, একটাই লক্ষ্য—নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়া।
স্বাগতা বলেন, “আমি একটা মিশন নিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছি। যদিও বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার বলেছে ‘তুমি ভুল করছো’, তারপরও আমি শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব যেন স্বাভাবিকভাবে আমার সন্তান পৃথিবীতে আসে।”
আরো পড়ুন:
‘মিমির মানবিক আচরণে চোখে পানি চলে এসেছিল’
দূরদেশে তারকাদের ঈদ
তিনি আরও জানান, “সিজারিয়ান অপারেশনের পর অনেক মায়েদের নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তাই আমি শুরু থেকেই নরমাল ডেলিভারির ব্যাপারে সচেতন। প্রথমে যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, সেখানে তা সম্ভব না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতাল বদল করেছি। এখন নতুন চিকিৎসকের অধীনে আছি এবং আশাবাদী।”
২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বাগতা বিয়ে করেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রেমিক হাসান আজাদকে। লন্ডন প্রবাসী হাসান একাধারে সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও মিউজিক কম্পোজার। পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্যের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে, পিএইচডি ডিগ্রিও সম্পন্ন করেছেন সেখান থেকে। বর্তমানে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।
দাম্পত্য জীবনের নতুন অধ্যায়ে এখন যুক্ত হচ্ছে মাতৃত্বের অভিজ্ঞাতা। আর এই যাত্রাকে স্বাগতা শুধু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, এক সচেতন ও সাহসী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক স ব গত
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’